পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাস । R S è

  • হৃদয়ের মহনীয়ত্বই সমধিক প্রকাশিত হইল। রামের সমস্তই যেন অদ্ভুত-আশ্চৰ্য্যপূর্ণ। র্তাহার যেমন শৌৰ্য তেমনই গাম্ভীৰ্য্য, যেমন উৎসাহ তেমনই ক্ষমা, সবই অলৌকিক । 瞩

কতিপয় দিনের মধ্যেই দশরথ, পুত্র-পুত্রবধূ গণের সহিত অযোধ্যায় উপনীত হইলেন। রাজলক্ষীরূপিণী বধুদিগের রাজধানী প্ৰবেশে অযোধ্যায় যেন আনন্দের হাট বসিল । এত আনন্দ, এত সুখ অযোধ্যায় বুঝি আর কখনও হয় নাই। প্রজাকুল পরমোৎসাহে রাজ-পুত্র রামচন্দ্রের বিজয়-গাথা কীৰ্ত্তন করিতে লাগিল। মহাকবি কালিদাস, রঘুবংশের একাদশ সর্গে রামচরিত্রে প্রকাণ্ডত্ব, কোমলত্ব এবং তেজস্বিত্বের সহিত মধুৱত্বের সমাবেশ প্ৰদৰ্শন-পূর্বক, পাঠকদিগকে বিস্মিত করিয়াছেন । ” ত্ৰয়োবিংশ অধ্যায়। বনবাস । দিনে দিনে রামচন্দ্রের অভু্যুদয় হইতে লাগিল। এ দিকে বৃদ্ধ রাজা দশরথেরও ক্রমে বিষয় ভোগে বিরক্তি জন্মিয়া আসিল। উষাকালের প্রদীপ-শিখার ন্যায়, তাহার নির্বাণ ক্রমে সমীপবৰ্ত্তী হইতে লাগিল। বাৰ্দ্ধক্যাগমনের শ্বেত বৈজয়ন্তিকারূপে, প্রথ`ಕಿ; মানবের কর্ণমূলের কেশ পরিপক্ক হয়। দশরথেরও তাহাই হইল। অথবা