পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्ञकभ°८ ।। RRA শ্রান্তি-বিনোদন করিতেন, সেই সব আজ সীতাপতি সীতাকে দেখাইতেছেন। সীতা দেখিতেছেন, দেখিতে দেখিতে মজিতেছেন, একেবারে আত্মহারা হইতেছেন। পৃথিবীর আজ সকলই সুন্দর। বিশ্বনাথ যেন তাহার সৌন্দৰ্য্যের অক্ষয়-ভাণ্ডার খুলিয়া আজ বিশ্বেশ্বরীকে দেখাইতেছেন, আর বিশ্বেশ্বরী আনন্দ-পারিপ্লবহৃদয়ে, সেই শোভা দেখিতে দেখিতে সুখ-তন্দ্ৰায় নিমীলিতাক্ষী হইয়া পড়িতেছেন। এমন সুন্দর ছবি আর আছে কি ? যে জন্য । মনুষ্য-দেহ-ধারণ, এই পঙ্কিল সংসার-ক্ষেত্রের কণ্টকময় পথে বিচরণ, সে প্রয়োজন সিদ্ধ হইয়াছে; ত্ৰিজগতের পরম শত্ৰু, দুৰ্দ্ধৰ্ষ অত্যাচারীর শাস্তি-বিধান হইয়াছে। ইন্দ্ৰাদিদেবতাবৃন্দের মান-মুখে, আবার প্রসাদের চিহ্ন দেখা দিয়াছে, জগতের একটা প্ৰধান কাৰ্য্য—দেবদানব-গন্ধৰ্বেরও অসাধ্য কাৰ্য সুসম্পন্ন হইয়াছে, তাই রামের আজ অপাের আনন্দ! তিনি নারায়ণের পূর্ণ অবতার, আর স্বয়ং লক্ষনী সীতা-রূপে অবতীর্ণ, লক্ষনী-নারায়ণ আজ সম্মিলিত পুষ্পকরথে উঠিয়া উদ্ধে আকাশপথে, নিম্নস্থ পৃথিবীর শোভা দেখিতে দেখিতে যাইতেছেন, তুচ্ছ জড়-জগতের অনেক উৰ্দ্ধ দিয়া নক্ষত্র-বেগে চলিয়াছেন, আর সমস্ত জড় জগৎ ভঁহাদের নিম্নে পড়িয়া রহিয়াছে; নানা, নিম্নে থাকিয়া যাহার যতটুকু ক্ষমতা, জড় জগতের তাবৎ পদার্থ রাম সীতার পরিচর্য্যা করিতেছে। কোথাও পৰ্ব্বতের ১) নিতম্বে ঘন-নীল পয়োদ-মালা নৰ্ত্তন করিয়া তাহদের নয়ন পরিতৃপ্ত করিতেছে। কোথাও আকাশে, সারস-পক্ষিগণ,