পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসর্জন । R O বুঝিতে পূরিলেন না যে, কল্পবৃক্ষ আজ তাঁহার অদৃষ্ট-দোষে বিষবৃক্ষে পরিণত হইছে। সীতা লক্ষণের সহিত সুমন্ত্র-পরিচালিত রথে আরোহণ করিলেন। রথ নক্ষত্র-বেগে ছুটিল। লক্ষণ অতিকষ্টে হৃদয়ের ভাব-গোপন-পূর্বক, মৌনাবলম্বন করিয়া রহিলেন। কিন্তু সীতার দক্ষিণ-নয়ন বারবার স্পন্দিত হইয়া ভাবী গুরুতর দুঃখের সূচনা করিতে লাগিল। মুহুমুহুঃ দক্ষিণাক্ষি-স্ফুরণ-নিবন্ধন সীতার হৃদয়ে একটা ঘোর আতঙ্কের উদ্ৰেক হইল। তঁহার ‘মুখারাবিন্দ’ অকস্মাৎ “পরিমান’ হইল। সাধবী জানকী অন্তঃকরণে রাজা এবং রাজভ্ৰাতৃগণের নিরন্তর মঙ্গল কামনা করিতে লাগিলেন। রথ অনেক দূরে আসিয়া পড়িল । সম্মুখেই বীচি-মালিনী ভাগীরথী। "গুরুর আদেশে, “সার্ধবী বনিতাকে’, ‘সুমিত্ৰাতনয়’ আজ জন্মের মত বনবাস দিতে চলিয়াছেন, ঘোর অকাৰ্য্য করিতে উদ্যত হইয়াছেন, তাই যেন পুরোবৰ্ত্তিনী জাহ্নবী তদীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরঙ্গরূপ কর-পল্লব কম্পিত করিয়া লক্ষমগকে প্ৰতিষেধ করিা‘লেন। (১) লক্ষণ অতিক্ষিপ্ৰতার সহিত ভ্ৰাতৃ-জায়াকে পুলিনে অবতীর্ণ করিয়া, কিরাত-বাহিত নৌকা-যোগে গঙ্গা পার হইয়া, সীতাকে মহীপতির কালকূটবৎ ভীষণ আদেশ বিজ্ঞাপিত করিলেন। লক্ষণের বাক্য শেষ হইতে না হইতেই, ধরিত্রী-দুহিতা সীতা মূচ্ছিত হইয়া, শেল-বিদ্ধ হরিণীর ন্যায়, পরশু-নিকৃত্তা শাল (১) রঘু, ১৪-৫১-গুরোর্নিয়োগাদ বনিতাং বনান্তে সাধ্বীং সুমিত্ৰা তনয়োবিহান্তন। অবাৰ্য্যতেবে।াখিত বীচিহন্তৈর্জহ্বোদুহিত্রা স্থিতয়া পুৱন্তাৎ ৷