পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস । 9 নবমধুলোলুপ” রাজার মনের মধ্যে যে মন—তাহার মধ্যে ঢুকিয়া, জন্মান্তরের কথা স্মরণ করাইয়া দিয়া, বিমুগ্ধ নিরপতিকে “পযুৎসুক” করিয়া তুলিতেছে। (১) রাজরাজেশ্বরের বড় আদরের কন্যাকে, জনক-জননীর মেহের পুত্তলিকাকে সন্ন্যাসিনী সাজাইয়া, জটাবষ্কাল পরাইয়া, পর্বতে পর্বতে, গুহায় গুহায়, লইয়া বেড়াইতে তাহার কল্পনার কতই না আনন্দ । ( ২) “উদাসিনী’ রাজ-নন্দিনীকে কখন, নিজহস্তে পদ্ম-রাগ-বিনিন্দী অশোক-কুসুমের অলঙ্কার দিয়া তাহার কল্পনা সাজাইতেছে, কখন কাঞ্চন-কান্তি কণিকার পুষ্পে রাজকন্যার বেশ-বিন্যাস করিতেছে, দুগ্ধ-ধবল সিন্ধুবার প্রসূনের মালা রচনা করিয়া, মুক্তার মালার ন্যায় তাহার ‘বন্ধুর” কণ্ঠে দোলাইয়া দিতেছে। রাশি রাশি বসন্ত কুসুমের-বসন্ত পল্লবের আভরণে সাজ-সজ্জা করিয়া উদাসিনী রাজকন্যা যখন মন্থর-পদে চলিয়া যান, তখন তাঁহাকে দেখিলেই মনে হয়, বুঝি “পুষ্পস্তবকাবনম্রা’, ‘পল্লবিনী’ কোনো বাসন্তী লতিকা, কমনীয়-কন্যা-শরীর-পরিগ্রহপূর্বক ধীরপদসঞ্চারে চলিয়া যাইতেছে। (৩) । তাহার কল্পনা-বীণার মোহনতানে, মৃগের শৃঙ্গস্পর্শে মৃগী অবশ হইতে হইতে, ক্ৰমে ভাবাবেশে “নিমীলিতাক্ষী’ হইতেছে। তঁহার। প্ৰগলভা। কল্পনা, বংশবদ ভ্রমরকে ভ্ৰমরীর পীতাবশিষ্ট মধু আগ্রহ-সহকারে পান ১-অভিজ্ঞানশকুন্তল,-৫ম অঙ্ক, হংস-পাদিকার গীতি এবং তচ্ছ, বৰ্ণে দুৰ্য্যন্তের ঔৎসুক্য । T-FAta er lí, atfe ax ! S-RAfx-ex !i, af< eO, es |