পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शासनिक-*डन । IR VAR অনুশোচনায়, মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে মরিয়া ছিল। কি করিলে অযোধ্যার বিসৰ্জিত শারদ প্ৰতিমা পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়, কি করিলে সেই নিষ্কলঙ্ক-প্ৰকৃতি অগ্নি-পরীক্ষিতা দেবীর পুনঃ সন্দর্শন পাওয়া যায়, এই ভাবনায় প্রজাপুঞ্জ অহৰ্নিশ ব্যাকুল ছিল। রাম, প্রজারঞ্জন রাম একটা কাজ করিয়া বসিয়াছেন, আর তাহার প্রতি বিধানের পন্থা নাই। হস্তচু্যত অক্ষ আর প্রত্যাবৃত্ত হইবে না। রামের এবারকার জীবনের খেলা শেষ হইয়াছে । তিনি যথাসর্ববস্ব হারিয়াছেন। আর জিতিবার আশা নাই। এ সমস্ত বিষয় অযোধ্যার রাজা বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, প্ৰজা-গণের এতদিনে ভ্ৰান্তি-নিরাস হইয়াছে ; জানকীর পবিত্র চরিত্রে তাহদের যে অলীক সন্দেহ জন্মিয়াছিল, তাহা দূর হইয়াছে। তিনি আরও বুঝিয়াছিলেন যে, এক্ষণে যদি জনক-দুহিতাকে পুনরায় গ্ৰহণ করেন, তবে তাঁহাতে প্ৰজাগণের সন্তোষের আর অবধি থাকিবে না । এ সমস্ত বিদিত থাকিয়াও নৃপতি রামচন্দ্ৰ, ইচ্ছানুরূপ কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিতে পারিলেন না। “জল-বিন্দু-লোল” প্ৰজা-হৃদয়ের অস্থৈৰ্য্য চিন্তা করিয়া, জানকী-সম্বন্ধে, তিনি একেবারে ঔদাসীন্য অবলম্বন করিলেন। রাজার রাজ্য-পালন এবং প্রজা-রঞ্জন যে কী দৃশ কঠোর কার্য্য, তাহা কবি এই রাম-চরিত্রে বিশেষ ভাবে প্ৰতিপন্ন করিলেন । মহর্ষি বাল্মীকি সীতাগ্রহণের জন্য স্বয়ং অনুরোধ করিতেছেনবলিয়াই রামচন্দ্ৰ কৰ্ত্তব্য-ভ্ৰষ্ট হইলেন না । তিনি তৎক্ষণাৎ বলিলেন,-