পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। · Sሕsዓ রঘুবংশে বর্ণিত নৃপতিগণের মধ্যে দেখিতে পাই, দিলীপ হইতে দশরথ পৰ্যন্ত-পর-পর, ক্ৰমেই যেন রাজ-গণের গুণাবলীর বৃদ্ধি হইতেছে, অর্থাৎ দিলীপ অপেক্ষা রঘু, রঘু অপেক্ষা অজ, অজ, অপেক্ষা দশরথ যেন অধিকতম শৌৰ্যসম্পন্ন। রাজ্যের সুখ-সম্পদ ক্রমেই যেন বদ্ধিত হইতেছে, অথবা বাড়িতে বাড়িতে বাড়িতে, শেষে পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের সময়ে, যেন রাজ্যের সুখ-সমৃদ্ধির ষোল কলা সম্পূর্ণ হইয়াছে। যেমন রাম, তেমন সীতা, তেমনই অযোধ্যা-রাজ্য। সমস্তই যেন পরিপূর্ণ। কোন অংশেই কোনরূপ অপূর্ণতা নাই। রাম যেন অযোধ্যার রােজ্যাকাশের পূর্ণচন্দ্ৰ, দিলীপ হইতে এক এক কলা করিয়া বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হইয়া, ক্ৰমে যেন রামরূপী সর্বাঙ্গসুন্দর পূর্ণিমার চন্দ্ৰ উদিত হইয়াছিলেন। তঁহার স্নিগ্ধ চরিত-চন্দ্রিকায় কেবল অযোধ্যা নহে, বিশ্ব-ব্ৰহ্মাণ্ডও স্নিগ্ধ ও আনন্দিত হইয়াছিল। রামচন্দ্রের অস্তগমনের পর—অযোধ্যার শুক্ল-পক্ষের চিরকালের মত অবসান হইল। অযোধ্যায় কৃষ্ণা প্রতিপদ উপস্থিত হইয়া, পরবর্তী প্রতি নরপতির সময়েই, এক এক কলা করিয়া ক্ষয় হইতে হইতে, পরিশেষে, অগ্নিবর্ণের সময়ে যেন অযোধ্যায় অন্ধতমসভীমা অমানিশার আবির্ভাব হইল। অযোধ্যা গাঢ় অন্ধকারে ডুবিয়া গেল। যেমন ক্রমিক বৃদ্ধি, তেমনই ক্ৰমিক ক্ষয়। দিলীপ হইতে অগ্নিবৰ্ণ পৰ্য্যন্ত—অষ্টাবিংশতি নরপতি ক্ৰমে কোশল-সাম্রাজ্যে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। দিলীপ, রঘু, অজ, দশরথ ও রাম-এই পাঁচ জন রাজার রাজত্বকালেই অযোধ্যার