*VOO O কালিদাস । পড়িতে অনেক সময় লাগিল। সীতা-নির্বাসনের সময়ে আযেধ্যায় যে ভঙ্গের সূত্র-পাত হইয়াছিল, অতিথি হইতে অগ্নিবর্ণের সময় পৰ্য্যন্ত সেই ভঙ্গ ব্যাপারই চলিতেছিল। ক্ৰমে ক্ষীণ, জীর্ণ, শীর্ণ হইতে হইতে বিরাট সৌধ ভূমিসাৎ হইল। অযোধ্যারাজ্য রাজ-শূন্য বা ‘অরাজক’ হইল। কালিদাস রঘুবংশে তাঁহার আর একটি উদ্দেশ্য, যাহা কুমার সম্ভব বা মেঘদূতে সিদ্ধ করিতে পারেন নাই,-সেই উদ্দেশ্য সুসিদ্ধ করিয়াছেন। তিনি কুমার-সম্ভবে মাত্র ১৮টি শ্লোকে পূর্বাপর তোয়নিধি-ব্যাপী প্ৰকাণ্ড হিমালয়ের যে প্ৰকাণ্ড বর্ণন করিয়াছেন, তদ্রুপ আর কোন কবিই করিতে পারেন নাই । মহাকবি মাঘ, তদীয় শিশুপালবধ-কাব্যে, একটি সুদীর্ঘ সৰ্গে, রৈবতক পর্বতের যে বৰ্ণনা করিয়াছেন, কালিদাসের অষ্টাদশশ্লোকমাত্ৰ-ব্যাপিনী হিমালয় বর্ণনার নিকট তাহা উল্লেখাহাঁই নহে। কুমারসম্ভবে কবি তাহার প্রিয় হিমালয়ের বর্ণন করিয়াছেন বটে, কিন্তু ভারতে অন্যান্য যে সমুদয় নয়নরঞ্জন স্থল আছে, মনোহর দৃশ্য-পটের ন্যায়, যাহাদের প্রাকৃতিক শোভা দৰ্শন করিয়া কালিদাস নিজে মুগ্ধ হইয়াছিলেন, সেই সকল স্থানের বর্ণন করা হয় নাই। তাই তিনি, কুমারের পর, প্রথমে, মেঘদূতে, , लाभ-शिद्धि श्रेड अलका°1खु মেঘের পথ নিৰ্দ্ধারণ করিবার সময়ে, উত্তর-ভারতের সম্পূর্ণ বর্ণনা করিয়াছেন। তার পর আবার রঘুবংশে, অযোধ্যা হইতে দক্ষিণে-অনেক দক্ষিণে, } ভারতবর্ষের বহির্ভাগে-দক্ষিণ-সমুদ্রের মধ্যবৰ্ত্তিনী লঙ্কানগরী
