ऐछे°न९झांद्म । ܕܘܘ হইতে রাম যখন সীতার সহিত আকাশ পথে অযোধ্যায়। প্রত্যাগমন করেন, তখন আর একবার ভারতের অপরাংশের, মেঘদূতে যাহা বর্ণিত হয় নাই, সেই অংশের অর্থাৎ দক্ষিণ ভারতের বর্ণনা করিয়াছেন। অর্থাৎ একবার মেঘদূতে, বৰ্ত্তমান সেণ্টাল প্ৰভিনসের অন্তঃপাতী অমর কণ্টক ( প্ৰাচীন রামগিরি), হইতে ভারতের উত্তর সীমান্তবৰ্ত্তী কৈলাস পৰ্য্যন্ত, আর একবার, রঘুবংশে দক্ষিণ-সমুদ্রের মধ্যবৰ্ত্তী লঙ্কাদ্বীপ হইতে বৰ্ত্তমান যুক্তপ্রদেশের ( ইউনাইটেড প্ৰভিনসের ) আন্তঃপাতী অযোধ্যাপৰ্যন্ত ভূ-ভাগের বর্ণন করিয়াছেন। ফর্লতঃ কবি মেঘদূত এবং রঘুবংশে সমগ্রভারত বর্ষের মানচিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন। নিবিষ্টচিত্তে অনুধাবন করিলে, অতিস্পষ্টই হৃদয়ঙ্গম হয় যে, ভারতের উত্তর প্রান্তবৰ্ত্তী কৈলাস হইতে দক্ষিণ-সাগরের মধ্যবৰ্ত্তাঁ লঙ্কাদ্বীপ পৰ্য্যন্ত, যেন কালিদাসের কল্পনারূপ এক গাছি সূত্র লম্বমান করিয়া, সেই সূত্রে। ভারতের উত্তর দক্ষিণ—এই উভয় দিকের মধ্যবৰ্ত্তী প্ৰদেশসমূহের মানচিত্র-সর্বাঙ্গ-সুন্দর আলেখ্য-নিচয় মালার ন্যায়, গ্রথিত করিয়াছেন। মেঘদূত এবং রঘুবংশ —এই দুইখানি গ্ৰন্থ পাঠ করিলে, ভারতের উত্তর-সীমা হইতে দক্ষিণ-সীমা পৰ্যন্তবিশাল ভূ-ভাগের সুনিৰ্ম্মল প্রতিকৃতি দেখিতে পাওয়া যায়। ] কবি, রঘুবংশে, যদি লঙ্কা হইতে ঠিক ঋজু ভাবে, রামসীতাকে আকাশ-পথে উত্তর-কৌশল্য-রাজ্যে লইয়া আসিতেন, তাহা হইলে, তঁহার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইত না। ভারতের মধ্য
