পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VON কালিদাস । মধ্যবৰ্ত্তী সমৃদ্ধিশালী রাজ্যে—শ্ৰীবৃদ্ধি-সম্পন্ন জনপদে উপস্থিত হইয়া, তৎতদেশের প্রতিকৃতি অঙ্কিত করিয়া, পাঠকের নয়নের সম্মুখে তুলিয়া ধরিতেছে। কল্পনার এমন বৈচিত্ৰ্যময়ী তরঙ্গলহরী কালিদাসের গ্ৰন্থ ব্যতীত অন্যত্র পরিদৃষ্ট হয় না। র্তাহার কাব্যের আর একটি অনন্য-সাধারণ গুণ এই যে, অপরাপর কবি-গণ, নামোল্লেখ-পূর্বক হৃদয়ের যে যে ভাবের প্ৰকাশ করিয়াছেন, কালিদাস তদীয় শক্তি-শালিনী ভাষার দ্বারা, সেই সেই ভাবের একটু ইঙ্গিত করিয়াছেন মাত্র। তিনি শোকের স্থলে “শোক” এই শব্দের বিন্যাস করেন নাই, কিন্তু এমনই কৌশলে শোকের চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন যে, অন্যান্য কবির শতবার ‘শোক ”শোক” শব্দ প্রয়োগ অপেক্ষা, কালিদাসের এই শোকের নাম-বৰ্জিত বৰ্ণন-কৌশলে করুণরসের প্রকৃতমূৰ্ত্তির অধিকতর অভিব্যক্তি হইয়াছে। অন্যান্য কবিগণ, তঁহাদের পাত্ৰাদিগকে যে যে স্থলে উচ্চৈঃস্বরে রোদন করাইয়াছেন, কালিদাস তথায়, তাহার পাত্রের নয়নাপাঙ্গে মাত্র একবিন্দু অশ্রু উদ্ভূত করিয়া, বর্ণনার চমৎকারিতা সহস্ৰগুণে বদ্ধিত করিয়াছেন। অথবা এক কথায় বলিলে বলিতে হয়,-অপরাপর কবিগণের রস বাচ্য”-অৰ্থাৎ শব্দের দ্বারা অভিব্যক্তি। আর কালিদাসের কাব্যের রস ‘ব্যঙ্গ্য”-অৰ্থাৎ ভাবের দ্বারা অভিব্যক্তি। অন্যান্য কবিদিগের কাব্যের চিত্র শব্দ-সাহায্যে পরিব্যক্তি, আর কালিদাসের চিত্ৰ ভাবের সাহায্যে অঙ্কিত। অন্যান্য কাব্য পাঠ্যকালে শব্দাবলীর আবৃত্তি-সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তাহদের