পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गांठ|विकांक्षेिणिया । VSS প্রতিমার নাক, মুখ, চক্ষুঃ, কর-চরণাদি সকল সময়েই আকৃতিতে তুল্য হয় বটে, কিন্তু তাহদের ক্রিয়ার তারতম্য ঘটে। প্রথম বয়সের চিত্রিতমূৰ্ত্তির চক্ষু চঞ্চল, চকিত-হরিণী-নয়নবৎ নিরন্তর চঞ্চল, আর পরিণত-বয়স্ক চিত্ৰকরের চিত্রিত মূৰ্ত্তির চক্ষুও চঞ্চল, তবে সেই চাঞ্চল্যের মধ্যে আবার কদাচিৎ গাম্ভীৰ্য্যও উপলব্ধ হয়। প্ৰথম বয়সে যে সকল চিত্র অঙ্কিত করেন, চিত্রকর তাহাঁদের মুখে অতুল সৌন্দর্ঘ্য ফুটাইতে পারেন। কিন্তু প্ৰবীণ বয়সের চিত্রিত মূৰ্ত্তির মুখে অতুল সৌন্দৰ্য্য এবং হৃদয়নিহিত ভাবের সম্যক অভিব্যক্তি—এই দুইই ফুটিয়া থাকে। ফলতঃ চিত্রকারের চিত্ত-বৃত্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, তাহার চিত্ৰিত মূৰ্ত্তিরও ভাবাভিব্যক্তির ইতার-বিশেষ ঘটিয়া থাকে । উপরি-লিখিত কারণ-বশতই আমরা দেখিতে পাই যে, অগ্নিমিত্ৰকে বিমুগ্ধ—একবারে আত্ম-বিস্মৃত করিবার জন্য, যে কবি মালবিকাকে নৃত্যমঞ্চে অবতীর্ণ করাইয়াছেন, সেই কবিই শকুন্তলাকে ভ্ৰমর-বাধায় চঞ্চল করিয়া, ‘বিটপান্তরিত’ দুষ্যন্তের মনোমোহন করিয়াছেন । মালবিক সমস্ত রাজ পরিবারের সমক্ষে, প্রধান মহিষী ধারিণীর সমক্ষে, ততোধিক রাজারতাহার চির-প্রাৰ্থিত অগ্নিমিত্রের সম্মুখে রঙ্গমঞ্চ-বৰ্ত্তিনী হইয়া নৃত্য করিতেছে, আর শকুন্তলা, শান্ত-তপোবনে সখীগণের সঙ্গে কুসুম চয়ন করিবার কালে, স্বকীয় মুখ-কমল-পতিত ভ্ৰান্ত ভ্রমরের সন্ত্রাসে একটু চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছেন। মালবিকা নৃত্যের তালে তালে আবার সঙ্গীত-সুধা বর্ষণ করিতেছেন,