পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भावादिकांधिभिय । \ხზაზ অযথা আধিপত্য করিয়া আসিতেছেন, তাহা তিনি খর্ব করিবেন। লোকে ব্ৰাহ্মণদিগকে যে ঐশী শক্তির আধার বলিয়া মনে করে, লোকের এ ভ্ৰান্তি তিনি নিরাস করিবেন। প্রকৃতপক্ষে যে সমুদয় ব্যক্তির ঐশী শক্তি আছে, তাহারাই পূজাহঁ। তঁহাদেরই সম্মান হওয়া উচিত। এই প্ৰবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়া, তিনি সর্বপ্রথমেই স্বরাজ্য-মধ্যে, যজ্ঞার্থে পশুবধ সম্পূর্ণরূপে রহিত করিয়া দিলেন । বিচার-কাৰ্য্যে বা শাসন-বিষয়ে ব্ৰাহ্মণগণই একমাত্ৰ হৰ্ত্তাকৰ্ত্তা ছিলেন । অশোক ব্ৰাহ্মণদিগের এ ক্ষমতাও আয়ত্ত করিয়া লইলেন। এতদ্ব্যতীত, “নীতিশিক্ষক’ নামে কতকগুলি কৰ্ম্মচারীর নিয়োগ-পূর্বক, তিনি, সমাজের উপর ব্ৰাহ্মণদিগের উপদেশ-দানের যে একটা অধিকার ছিল, ক্রমে তাহাও বিলুপ্ত করিলেন। ক নিজে বৌদ্ধ নৃপতি হইয়া যদিও সর্বদা প্ৰকাশ করিতেন সৈন্য, সকল ধৰ্ম্মই Yওঁহার অভিমত, কোন ধৰ্ম্মেরই তিনি, বিদ্বেষী নহুৈন, কিন্তু তঁহীৱ প্ৰকৃত উদ্দেশ্য ছিল, ব্ৰাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের যে অক্ষুন্ন প্ৰতাপ, তাহার সমূলে ধবংস-বিধান । কিন্তু চিরদিন সমান যায় না। বৌদ্ধনৃপতি অশোকের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই, এক নূতন ব্ৰাহ্মণ-শক্তির অভু্যুত্থান হইল। অগ্নিমিত্র রাজসিংহাসনে আরূঢ় হইলেন ৷ . অবজ্ঞাত ব্ৰাহ্মণগণ এই নূতন রাজত্বকালে, একপ্রকার “সর্বে সৰ্ব্বা", হইলেন। এইবার ব্ৰাহ্মণগণ সময় পাইয়া, অমিত-বলে, অতি, অল্প-কাল-মধ্যেই, তঁহাদের বিলুপ্ত ব্ৰাহ্মণ-শক্তির