পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুস্ত্রিাংশ অধ্যায়। নাটকীয় বৃত্তান্ত । রাজা অগ্নিমিত্ৰ বিদিশানগরীর অধিপতি ছিলেন । রাণী ধারিণী তাহার প্রধান মহিষী। ধারিণীর এক পুত্র ও একটি কন্যা। পুত্রের নাম বসুমিত্র, আর কন্যার নাম বসুলক্ষনী । ধারিণীর অতি সন্ত্রান্ত কুলে জন্ম। তঁহার হৃদয় ধৰ্ম্মভাব-পরিপূর্ণ ; সহিষ্ণুতাও যত পরোনাস্তি। আকারে তিনি যেন শরীর-ধারিণী ক্ষমা । র্তাহার বুদ্ধিবৃত্তিও কুশাগ্রবৎ তীক্ষা। ধারিণীর সমস্তই সুন্দর, অসুন্দরের মধ্যে তিনি প্ৰবীণা। তাঁহার এক শ্ৰীমতী পরিচারিকা ছিল, নাম ছিল তাহার ইরাবতী। সে নীচ-কুল-সমুৎপন্ন হইয়াও সৌন্দ্যৰ্য্যে মহারাজ অগ্নিমিত্রের হৃদয়জয় করিয়াছিল। অগ্নিমিত্ৰ তাহার পাণিপীড়ন করিয়া, রাজ্যের দ্বিতীয়া লক্ষনীর ন্যায় তাহাকে আদর যত্ন করিতেন। প্ৰৌঢ়া মহারাণী, নবীনা পরিচারিকার এই অভু্যদয় নীরবে নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। আত্ম-হৃদয়ের উপর তাহার এতই প্ৰভুত্ব ছিল যে, তাঁহার ব্যবহারে মনে হইত, পরিচারিকা ইরাবতীর প্রতি রাজার এই অনুগ্রহে ধারিণীর যেন কতই আনন্দ। লোকে শতমুখে তাহার সহিষ্ণুতার প্রশংসা করিত। পাটরাণীর হৃদয় যেমন হওয়া উচিত, রাজ-সংসারের প্রধান-মহিষীর ব্যবহার যেমন হওয়া উচিত, বহির্ব্যাপারে ধারিণীর ব্যবহারও ঠিক সেইরূপ ছিল। মহারাণী কেবল নীরবে কালের Rò