পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালবিকার আত্মোৎসর্গ। &)२१ অগ্নিমিত্রের সহিত সখ্যস্থাপনের জন্য বিদিশাভিমুখে আসিতেছিলেন । মালবিকা-কৌশিকী-প্রভৃতি তাহার সঙ্গে ছিলেন । অগ্নিমিত্র তখন ভারতের একচ্ছত্র অধিপতি। বৌদ্ধ রাজত্বের তখন পতন হইয়াছে। অগ্নিমিত্র তখন একপ্রকার অপ্ৰতিদ্বন্দ্বী । বিদর্ভপতির পুত্ৰ কুমার মাধবসেন সঙ্কল্প করিলেন যে, অগ্নিমিত্রের হস্তে ভগ্নী মালবিকার সম্প্রদান করিয়া,ভারতেশ্বরকে বন্ধুতাপাশে আবদ্ধ করিবেন। আর কুলমৰ্যাদা ও বৰ্দ্ধিত করিবেন। একটি প্রধান সহায় হইবে । কিন্তু বিধাতা তাহা হইতে দেন নাই। পথিমধ্যে নানাবিধ বিপৎপাতে, কুমার মাধবের সকল আশা ভরসা নিৰ্ম্মল হইয়াছে। মালবিকা দস্তু-গণ-কর্তৃক হৃত হইয়াছেন। তঁহার কোনই উদ্দেশ নাই। আর মাধব ও নিজে বিপক্ষ-কারাগারে আবদ্ধ। কে কাহার সন্ধান করে ? অদৃষ্ট-চক্রের আবৰ্ত্তনে, নানা হাত ঘুরিয়া, মালবিক অগ্নিমিত্রের সংসারে আসিয়া পাটরাণীর পরিচারিকা হইলেন । তিনি রাজার কন্যা, বিধাতা তাহাকে পরম সম্মানিত কুলে উৎপন্ন করিয়াছিলেন, অনন্ত-সৌন্দৰ্য্যের অদ্বিতীয় ভাণ্ডার করিয়াছিলেন, আর সর্বাপেক্ষা অতুল সম্পদ-কোমল অন্তঃকরণ দিয়া, বিধাতা তাহাকে মৰ্ত্তে পঠাইয়াছিলেন। মালবিক বিধি-প্রদত্ত সেই অতুলসম্পদ অতি সংগোপনে রক্ষা করিয়া, মহিষীর পরিচারিকবৃত্তি পালন করিতেছিলেন। তিনি কদাচিৎ নির্জনে বসিয়া সেই বিন্দর্ভের গৌরব-পিতার ঐশ্বৰ্য্য চিন্তা করিতেন, মনের বেদন মনোমধ্যেই রাখিতেন, বাহিরের কেহ