পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালবিকার আত্মোৎসৰ্গ । V) 9), সেই দিকে চলিলেন। উৎকণ্ঠ-পূর্ণ হৃদয় রাজা একটু দ্রুত পদে যাইতেছিলেন, বিদূষক অমনি তঁহাকে গোপনে সতর্ক করিয়া দিলেন যে, দ্রুত-গমনে রাণীর সন্দেহ জন্মিতে পারে, ধীরে অগ্রসর হওয়াই ঠিক। রাণী ধারিণীর কিন্তু এই ব্যাপারটা আদৌ পছন্দ হয় নাই। তিনি প্ৰথম হইতেই অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন। কি একটা যেন ঘোর ষড়যন্ত্রের আভাস। তঁহার নয়নপথে ভাসিতেছিল। অভিনয়-দর্শনে রাজার আগ্রহ দেখিয়া, তিনি বলিয়া ফেলিলেন যে, আৰ্য্যপুত্ৰ ! আজি আচাৰ্য্যদ্বয়ের অভিযোগমীমাংসায় আপনার যাদৃশ অনুরাগ, যে রূপ কৌশল-নৈপুণ্য দেখিতেছি, আহা ! রাজ-কাৰ্য্যেও যদি আপনার এইরূপ অনুরাগ থাকিত, তবে কতই না। সুন্দর হইত । (১) মৃদঙ্গ-ধ্বনি উত্থিত হইলে, যখন রাজা দেবীকে বলিলেন “দেবি । চল, অভিনয় দেখিতে যাই, তখন দেবী, রাজার এই অবিনয়-দর্শনে, মনে মনে বড়ই বিরক্ত হইলেন, কিন্তু উপায় নাই, রাজার আদেশ, স্বামীর আজ্ঞা, অবনত-মস্তকে ‘সাধবী ধারিণী পালন করিলেন। পরিব্রাজিক আচাৰ্য্যদ্বয়ের এই কলহ,বৃত্তান্ত, অবগত হইয়াই, বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, ঔষধের ক্রিয়া আরম্ভ হইয়াছে । রাজী মালবিকাকে দেখিবার নিমিত্ত অত্যন্ত উৎসুক, এসমস্ত তাঁহারই অনুযোগী কারণ। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, ধূৰ্ত্ত বিদূষকের চক্রান্তেই আচাৰ্য্যদ্বয়ের মধ্যে এই কলহ LLS DDDDBS DB BYSE S DSDS DBBYS S DDSDB ঈদৃশী উপায়নিপুণতা আৰ্যপুত্ৰস্ত, তদা শোভনং ভবেৎ।”