পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালবিকার আত্মোৎসৰ্গ । KOVO ঘূণাক্ষরেও তাহার বিন্দুবিসর্গ বুঝিতে পারেন, এই ভাবনায়, মালবিকা “ততোধিক আকুল। তাই তিনি, সািভয়ে, সলজভাবে পুত্তলিকাবৎ স্থির হইয়া নৃত্যমঞ্চে দাড়াইয়া আছেন। এদিকে রাজা,-আন্তঃপুরের আলেখ্যে যাহার প্রতিকৃতি দর্শন মাত্ৰেই,-বসুলক্ষনীর মুখে ‘মালবিকা” এই নামটি শ্রবণ মাত্রেই এক প্রকার উন্মত্ত হইয়াছিলেন, একবার মাত্র র্যাহার দৰ্শন-লাভের জন্য, বিদূষকের দ্বারা এই এত কাণ্ড করাইয়াছেন, সেই লাবণ্য-তরঙ্গিণী প্ৰতিমা তাঁহারই সম্মুখে উপস্থিত, রাজা চিত্রে র্যাহার কান্তির ছায়া মাত্ৰ দেখিয়াছিলেন, তিনি সশরীরে উপস্থিত, রাজা-অতৃপ্ত-নয়নে তঁহাকে দেখিতেছেন। অনিমেষনয়নে দেখিবার সাধ্য নাই, মহারাণী ধারিণীর সমক্ষে রাজার অন্ত দুঃসাহস হয় না, তিনি দেখিতেছেন, অথচ না দেখার ভান করিতেছেন। সহধৰ্ম্মিণীকে কোন পুরুষসিংহ ভয় না করেন ? রাজাও ভয়ে ভয়ে দেখিতেছেন। মালবিকার রঙ্গমঞ্চে প্ৰবেশমাত্ৰেই, রাজা এক নিমেষে, একবার তঁাহার,আপাদ-মস্তক দেখিয়া লাইলেন। তিনি বুঝিলেন, মালবিকার যে প্রতিকৃতি ইহার পূর্বে দেখিয়াছিলেন, তাহা কিছুই নহে, সে চিত্রের যিনি চিত্রকর, তাহার চিত্ৰ-বিদ্যায় নৈপুণ্য নাই। রাজা ইতিপূর্বে শুনিয়াছিলেন যে, মাধবসেন সহোদরাকে লইয়া বিবাহ দিতে আসিবার কালে, পথিমধ্যে বিপন্ন হইয়াছেন। এই বালিকাই যে সেই মাধব-সহোদরা,তাহ রাজা জানিতেন না । জানিলে চমৎকারিতার হানি হইত। এই প্ৰথম সন্দর্শন এত সুন্দর হইত না ।