পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8O कॉलिन । পক্ষে ভাল হইল, না-মন্দ হইল ?-এইরূপ চিন্তায় তিনি অবসন্ন হইয়া পড়িলেন। ক্রমে তাহার হৃদয়ে, উৎকণ্ঠ মিশ্রিত একটা ভয়ের উদয় হইল। তিনি একটু অবাক হইলেন। চিত্তে একটা আন্দোলন চলিতে লাগিল। মালবিক সেই আন্দোলিত হৃদয়ে প্রস্থানোন্মুখী হইলেন। আর অবস্থানই বা কেন ? যাহার জন্য এই দীর্ঘকাল তপস্যা, সেই বিন্দর্ভের রাজধানী পরিাত্যাগ, গহনবনে। দস্তু্যহস্তে লাঞ্ছনা, র্যাহার জন্য অহনিশ অশ্রুবিসর্জন, পরিচারিকা-বৃত্তি-স্বীকার ও এক প্রকার কারাগার , বন্ধন-উৰ্তাহার দর্শনলাভ হইয়াছে, তঁহাকে মনের বেদন জ্ঞাপন করা হইয়াছে, তাহার চরণে র্তাহারই জ্ঞাতসারে আত্মোৎসর্গ হইয়াছে, তবে আর অবশিষ্ট রহিল কি ? কিসের জন্য আর বিলম্ব ? মালবিক তাই ধীরে চরণ উত্তোলন । করিলেন। রাজা দেখিয়াছেন, সেই প্ৰথমে, প্ৰবেশ সময়ে একবার মালবিকার শািন্তমূৰ্ত্তি দেখিয়াছেন, তার পর সঙ্গীতকালে র্তাহার নৈরাশ্যময়ী, উৎকণ্ঠাময়ী, সঙ্কল্পময়ী মুখচ্ছবি দেখিয়াছেন, আর তাঁহার—“আমি পরাধীন,তোমার দাসী-পদ-কাঙিক্ষণী’ বলিয়া মালবিক যখন সঙ্গীত-শেষের সঙ্গে সঙ্গে, তাহার আত্মোৎসর্গরূপ মহাব্ৰতেরও উদযাপন করেন,-তখনকার সেই কাতরমুখচছবিও রাজা দেখিয়াছেন ; এ সমস্তই মালবিকার বিষাদময়ী মুখচ্ছবি। কিন্তু সে মুখের হাস্য দেখেন নাই, সে শারদগগনে চন্দ্ৰমার উদয় দর্শন করেন নাই। বিষাদে যে সে মুখ কত সুন্দর, তাহ রাজা দেখিয়াছেন বটে, কিন্তু মৃদু-মন্দ হাস্যে যে,