পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V98 V কালিদাস । মহারাণীর বড় আদরের এক অশোকবৃক্ষে ফুল ফুটে নাই। তিনি তজন্য অত্যন্ত দুঃখিত। প্রসিদ্ধি আছে, সাধবী প্রমদার চরণস্পর্শে অশোকের ফুল ফুটিয়া থাকে। ধারিণীর প্রিয় অশোকতরুর সেই প্ৰমদার পদাঘাতরূপ দোহদ করিলে, হয়ত, তাহাতেও ফুল ফুটিতে পারে। কিন্তু ধারিণীর সে সামর্থ্য নাই। চঞ্চল বিদূষক, সে দিন দোলাধিরোহণ কালে, ধারিণীকে ‘দোলা-পরিাভ্ৰষ্ট” করিয়াছিল, তাই তাঁহার চরণ অত্যন্ত বেদনা-যুক্ত। সুতরাং র্তাহার দ্বারা দোহদানুষ্ঠান অসম্ভব। ধারিণী, সত্য সত্যই, মালবিকাকে ৰড়ি ভাল বাসিতেন। মালবিকার নিৰ্ম্মল-চরিত্রে তিনি একান্ত বিমুগ্ধ ছিলেন। মালবিকার উপর তাহার পর্য্যাপ্ত বিশ্বাস ছিল। তিনি মালবিকাকেই, তাহার প্রতিনিধি করিয়া দোহদ করিতে পাঠাইয়াছেন। মালবিক একাকিনী, প্রাসাদের উপকণ্ঠ-বৰ্ত্তিনী সেই বসন্তরমণীয়া উদ্যান-বাটিকায় আসিয়াছেন। উদ্যানে আসার পর হইতেই, রাজ-কুমারীর অন্তঃকরণের যাতনা অতিশয় বৃদ্ধি-প্ৰাপ্ত হইয়াছে। এতদিন, আচাৰ্য্য-গৃহে, জন-সমক্ষে, প্ৰাণ ভরিয়া একটা দীর্ঘ-নিশ্বাসও ছাড়িতে পারেন নাই। সত্যত সভয়ে, অতি কষ্টের সহিত কাল কাটাইয়াছেন। আজ নিৰ্জন স্থান পাইয়াছেন । উপবনের সর্বত্র বসন্তের স্নিগ্ধ সৌন্দৰ্য্যামৃত ক্ষরিত হইতেছে। যে দিকে দৃষ্টি-নিক্ষেপ কর, সে দিক হইতে নয়ন আর ফিরাইতে পরিবে: না । এমন সুন্দর উদ্যানের মধ্যে মালবিকা, বন-দেবতার ন্যায়, ধীরে ধীরে উপনীত হইয়াছেন। আজ উদ্যানের সমস্তই স্নিগ্ধ,