পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO (O कांक्षिांज ॥ কথা কহিলেন, হৃদয়ের কত গুপ্ত কথা ব্যক্ত করিলেন। মালবিকার অভিলাষ-পূরণে যথাসাধ্য সহায়তা করিতে বকুলাবলিকা প্রতিশ্রুত হইল। চতুর বিদূষক বহুপূৰ্ব হইতেই মালবিকার এই পরম বিশ্বস্ত সখীটিকে অনুকুল করিয়া লইয়াছিল। মালবিক। যখন বকুলাবলিকার হাত দুইখানি ধরিয়া, সজল-নয়নে বলিলেন, ‘সখি ! আমার এই ঘোর বিপদে, যতটুকু পারিস, তুই আমার সহায়তা করিস, তখন সে বলিল, *মালবিকে ! তুমি জান না, বকুলের মালা যত বিমৰ্দ করিবে, তাহার সৌরভ ততই বাড়িবে। আমি বাবুলাবলিকা, আমাকে যত কঠিন কার্ঘ্যে নিযুক্ত করিবে, আমার ক্ষমতাও তত বৃস্তিত্ব পাইবে।” বাবুলাবলিকা এই একটি কথাতেই মালবিকার প্রাণটি নিজের হাতের মধ্যে করিয়া লইল । তারপর, নিমেষে, নিমেষে, যে দিকে ইচ্ছা, সেই দিকে বকুলাবলিকা সে প্ৰাণ ঘুরাইতে ফিরাইতে লাগিল। রাজা অন্তরালে থাকিয়া, সে সব দেখিতে লাগিলেন, শুনিতে লাগিলেন। বকুলাবলিক রাজ-কুমারীকে লতার বলয়ে, পল্লবের অবতংসে, সজাইল। নিসর্গসুন্দরী কুমারী বন-কুসুম-পল্লবে সজ্জিত হইয়া বনদেবীর ন্যায় দাড়াইয়া যখন অশোকের গাত্ৰে পাদপ্ৰহার করিলেন, তখন তঁহার নূপুরারাবে সমস্ত উদ্যান-বাটিকা মুখরিত হইয়া উঠিল। পাদাঘাত করিয়া, মালবিকা স্থির হইয়া দাড়াইয়া আছেন, এমন সময়ে, অবসর বুঝিয়া, বিদূষককে লইয়া, রাজা তথায় উপস্থিত হইলেন।