পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা । VOCS এ দিকে, ইরাবতী তাহার পরিচারিকা নিপুণিকার সহিত রাজাকে অন্বেষণ করিতে করিতে এই বৃক্ষ বাটিকায় আসিয়াছেন, অনেকক্ষণ যাবৎ, তিনি, দূর হইতে, মালবিক ও বকুলাবলিকার কথাবাৰ্ত্তা শুনিতেছিলেন । প্ৰধান মহিষীর উদ্যানে পরিচারিকা মালবিক সজ্জিত-দেহে কাহার অপেক্ষা করিতেছে ?-ভাবিয়া তাহার প্রাণ কঁপিয়া উঠিয়াছিল। বকুলাবলিকার সহিত, যখন অগ্নিমিত্রের সম্বন্ধে মালবিকার কত কথা হইতেছিল, তখন, নিপুণিকা, একটি একটি করিয়া সে সব কথা, অভিমানিনী ইরাবতীকে বুঝাইয়া দিতেছিল। মালবিক ও বকুলবলিকার গুপ্ত মন্ত্রণা-শ্রবণে ইরাবতীর হৃদয় দগ্ধ হইতেছিল । ক্ৰোধে দেহ কম্পিত হইতেছিল । এমন সময়ে আবার স্বয়ং রাজা তথায় প্ৰবেশ করিলেন। নিপুণিকা দেখাইল,-“ঐ রাজা”। ইরাবতী দেখিলেন, তাহার হৃদয় শতখণ্ডে যেন চূৰ্ণবিচূর্ণ হইল। ইরাবতী বৃক্ষান্তরিত হইয়া সমস্ত দেখিতে লাগিলেন। সহসা রাজার উপস্থিতিতে মালবিকার বড়ই ভয় হইল । বিশেষতঃ বিদূষক যখন বলিল, “তুমি পরিচারিকা হইয়া কেন মহারাজের অশোক বৃক্ষে বাম চরণাঘাত করিলে ?”—তখন, সত্য সত্যই মুগ্ধ মালবিক একান্ত অপ্ৰতিভ এবং ভীতি-বিহবল হইয়া পড়িলেন। রাজা অনেক কথা কহিলেন, কিন্তু মালবিক নির্ববাক । রাণী ইরাবতী ক্ৰোধোত্তোলিত-ফণা বিষধরীর ন্যায়, গ্ৰীবা উন্নত করিয়া, তাহার অবিনীত রাজার ব্যবহার দেখিতে লাগিলেন। তঁহার একান্ত অসহ্য হইল। রাজা যখন বলিলেন,