পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালৰিকা । 9)(9) প্রকৃষ্ট প্রমাণ।”—আজ ইরাবতী রাণী, কিন্তু একদিন তিনিও মালবিকার ন্যায় পরিচারিক ছিলেন। বিদূষকের এই তীব্ৰ উক্তিতে ইরাবতীর আরও ব্যথা লাগিল। “বেশ ত, তবে কথাবাৰ্ত্তাই চলুক।”—বলিয়া তিনি গমনোদ্যত হইলেন। রাজা অনেক অনুনয়-বিনয় করিলেন। ‘না, তুমি অবিশ্বাসী’ বলিয়া যেমন ইরাবতী ক্ষিপ্র-চরণে ছুটিয়া চলিলেন, অমনি তাহার হৈমী মেখলা স্মৃলিত হইয়া চরণে বিজড়িত হইল। রোষ-কষায়িতাক্ষী ইরাবতী গমনের বিস্ত্ৰভূত এই রশন। হাতে লইয়া, পশ্চাদ, ধাবমান বিদিশে শ্বরকে তাড়না করিতে গেলেন। রাজা আরও অনুনয় করিলেন। ইরাবতীর তখন যেন একটু চৈতন্য হইল। তিনি বলিলেন, “কেন আমায় আর অপরাধিনী করা ? আমার কাছে তোমার কি অত অনুনয় শোভা পায় ? আমি কি মালবিক ?”—এই বলিয়াই সখীর হস্ত-ধারণ-পূর্বক, তিনি তাঁরস্বিনী কেশরিণীর ন্যায়, দম্ভের সহিত চলিয়া গেলেন । রাজা কুপিত। ইরাবতীর চরণে পতিত হইয়াছিলেন, সে চরণ-পাত ব্যর্থ হইল। তিনি ভূমিতেই পড়িয়া রহিলেন। বিদূষক বলিল, ‘সখে! আর কেন ? এখন উঠ।” রাজার এবার ক্ৰোধের উদ্রেক হইল, বিরক্তিস্তুর উদয় হইল । রাজা যাহাকে পরিচারিকা হইতে রাজ্ঞাপদে আরূঢ় করিয়াছিলেন, তাহার সেই রাজার প্রতি এই ব্যবহার ! এত অবিনয় । রাজা ভাবিলেন “বাঁচিলাম, আমি ইরাবতীকে ভুলিব।” মালবিকার সৌভাগ্যগগনে যে একটু কালে মেঘের রেখা ছিল, তাহা মিটিয়া গেল। RV)