পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V(8 কালিদাস । ইরাবতী রুগ্ন-চারণা মহারাণী ধারিণীর সকাশে উদ্যানের সমস্ত ঘটনা জানাইয়া প্ৰতিকার প্রার্থনা করিলেন, ধারিণী তৎক্ষণাৎ আদেশ করিলেন যে, মালবিক ও বকুলাবলিকাকে “সারভাণ্ডগৃহে আবদ্ধ করিয়া রাখা হউক। রাজ্ঞীর আদেশ অচিরাৎ পালিত হইল। মালবিক বুঝিলেন যে, তাহার সকল আশার মুলোচ্ছেদ হইল। পরিব্রাজিক বিদূষককে জানাইলেন। বিদূষক আবার রাজার নিকটে বলিল। রাজা অতীব বিষঃ হইলেন। কিন্তু কোন প্ৰতিকার-বিধান করিতে পারিলেন না। ধারিণীর আদেশের প্রতিকূলে যাইতে র্তাহার। আর সাহস হইল না। একবার ইরাবতীর নিকটে বিশেষ শিক্ষা পাইয়াছেন, আবার কি করিতে কি হইবে, তিনি কিংকৰ্ত্তব্য-বিমূঢ় হইয়া বিদূষকেরই শরণাপন্ন হইলেন। বিদূষক অতিশয় প্রত্যুৎপন্নমতি, তৎক্ষণাৎ কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়া রাজার কাণে কাণে বলিল। রাজা প্ৰসন্ন-হৃদয়ে অন্তঃপুরে পীড়িত ধারিণীকে দেখিবার নিমিত্ত গমন করিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে, বিদূষকের পূর্বনিৰ্দেশানুসারে, রাজা, প্রতিহারী-দর্শিত “গৃঢ়-পথে” প্রমদ-বনে প্রবেশপূর্বক, বিদূষকের অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। এমন সময়ে বিদূষক আসিয়া বলিল, “সখে। কাৰ্য্যোদ্ধার হইয়াছে, মালবিকার উদ্ধার করিয়াছি, সত্বর চল, ‘সমুদ্রগৃহে মালবিক ও বকুলাবলিকাকে রাখিয়া, তোমাকে লাইতে আসিয়াছি; বিলম্ব করিও না।” সমুদ্রগৃহ রাজা ও রাজ্ঞীদিগের অন্যতম প্রধান প্রাসাদ। নানাবিধ আলেখ্যে, নানাবিধ দৃশ্যপটে সমুদ্র-গৃহ-ভিত্তি সজ্জিত ।