পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা । W) V Y. একপদে বিস্মৃতি হইয়া, পরিণত-বয়স্কার ন্যায়, বলিয়া ফেলিলেন‘ভট্টা । মা দাব, সহসা নিক্কম, সপ্লোত্তি ভনাদি ।” মহাকবি এইবার মালবিকার অপরিমিত-স্নেহ-পূর্ণ হৃদয়খানি, একবারে যেন খুলিয়া দেখাইলেন যে, সে পতিপ্রাণার অন্তঃকরণ কত সুন্দর, কত মমতাময়। পশ্চাদধাবমান মালবিকার প্রতিষেধে ততটা কৰ্ণপাত না করিয়া, বন্ধু-বৎসল রাজা, দ্রুতপদে বিদূষকের নিকটে উপনীত হইলেন, এদিকে ইরাবতীও আসিয়া সম্মুখে দাড়াইয়া, রাজাকে জিজ্ঞাসা করিলেন ‘অভিলাষ পূর্ণ হইয়াছে ত!” এই ব্যাপারে, ইরাবতীর এই অকস্মাদাগমনে, সকলেই অবাক হইলেন। মালবিক ও বকুলাবলিকা একান্ত ভীত হইলেন। রাজা, ইরাবতী, নিপুণিকা, বকুলাবলিকা, বিদূষক প্রভৃতির কত আলাপ হইল, কিন্তু দুঃখিনী রাজনন্দিনী মালবিক একটি কথাও কহিলেন না। বাতাহত লতিকার ন্যায়, কেবল একপাশ্বে, কম্পিত-দেহে দাঁড়াইয়া রহিলেন । এমন সময়ে, হঠাৎ "ধারিণীর কন্যা বসুলক্ষনী বড়ই বিপন্ন’ এই প্ৰকার একটা স্নাব উঠিল। . তাহাতে সকলেই চঞ্চল হইলেন। ইরাবতী ক্ৰোধ, অভিমান, সমস্ত । ভুলিয়া, মাতৃধৰ্ম্মের অতিপ্রভাবে, অবশ-চিত্তে, রাজাকে লইয়া কুমারী বসুলক্ষনীর নিকটে ছুটিয়া গেলেন। কেবল বকুলাবলিকা ও মালবিকা এই দুইজনে, সেই সমুদ্র-গৃহে পড়িয়া রহিলেন। মালবিকা—সজল নয়নে বকুলবালিকাকে কহিলেন, ‘সখি ! দেবী ধারিণীর কথা ভাবিয়া, আমার হৃদয় কম্পিত হইতেছে। একবার, সেই অশোক কুঞ্জের ঘটনার পর, যে