পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মালবিকার পরিণয় । VVV) মালবিকাকে পাঠাইয়াছিলেন । তিনি দোহদ করিয়াছেন । কথা ছিল, যদি “পঞ্চরাত্রাভ্যন্তরে” অশোক কুসুমিত হয়, তবে, দেবী ধারিণী মালবিকার মনস্কামনা পূর্ণ করিবেন। ফুল ফুটিয়াছে। আজ মালবিকার অভিলাষ-পূরণের দিন । ধারিণী, এতদিন তটস্থ-হৃদয়ে, রাজার কাৰ্যকলাপ দেখিয়া আসিতেছিলেন, বিশেষ কোন কথাবাৰ্ত্ত কহেন নাই। ইরাবতীর একান্ত আগ্রহে, সেই একবার মালবিকাকে অবরুদ্ধ করিয়াছিলেন। তারপর রাজার কোন কাৰ্য্যেই আর বাধা দেন নাই। প্রত্যুত তিনি আনন্দসহকারে মনে মনে রাজার’কাৰ্য্যাবলীর অনুমোদনই করিতেছিলেন। যে জন্য তাহার এত প্ৰয়াস, মালবিকাকে গণদাসের বাটীতে প্রেরণ, দূরে দূরে মালবিকাকে রাখা, ধীরে ধীরে অভিপ্ৰেত সিদ্ধির চেষ্টা, তাহা সিদ্ধ হইয়াছে। চুম্বকের আকর্ষণে লৌহ আকৃষ্ট হইয়াছে। ধারিণীর আহলাদের সীমা নাই । তিনি প্ৰথমে ভাবিয়াছিলেন যে, মালবিক যখন সকল বিষয়ে সমান পারদর্শিনী হইবেন, তখন তঁহাকে রাজার নয়ন-গোচর করিবেন। ক্ৰমে ক্ৰমে, রাজাকে একবারে মালবিকাময় করিয়া, পরে, যথাসময়ে মালবিকার অর্পণ করিবেন। কিন্তু তাহা হয় নাই। ধারিণীর ন্যায় পরিব্রাজিকারও ঐ অভিপ্ৰায় ছিল, বিদূষকেরও ছিল। রাজার সহিত যাহাতে সত্বর মালবিকার সম্মিলন ঘটে, এ বিষয়ে সকলেই যত্নপর ছিলেন। তাই সমবেত চেষ্টার ফলে, তাহদের মিলন হইয়াছে। ধারিণীর বাঞ্ছা! পূর্ণ হইয়াছে। সুতরাং আর বিলম্ব কেন ? “কাহার অপেক্ষায়