পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" भांलदिकांद्र ब्रिग्र । Oا পূৰ্ব্বক, ত্বরিতচরণে মালবিকার চতুষ্পার্শ্বে আসিয়। দাড়াইল ।” ধারিণী। উদাসীন-নয়নে, চিরপরিচিত সেই প্ৰিয় পরিচারিকাগণের এই ব্যবহার দেখিতে লাগিলেন। পরিব্রাজিকাও অমনি মালবিকার নিকটে যাইয়া, “রাণি ! তোমার জয় হউক’ বলিয়া অভিবাদন করিলেন। ধারিণী স্থির-নয়নে, পরিব্রাজিকার এই আকস্মিক সম্মান-প্ৰদৰ্শনের দিকে চাহিয়া রহিলেন। এমন সময় ইরাবতীর পরিচারিক আসিয়া বলিল, “রাজন। ইরাবতী বলিয়া পঠাইয়াছেন যে, আপনার নিকট তিনি সে দিন ঘোর অপরাধ করিয়াছেন। আজ আপনি পূর্ণ কাম হইয়াছেন, তঁহাকে ক্ষমা করিবেন।” রাজা কোন কথা কহিলেন। না । ধারিণী বলিলেন-“আচ্ছা ।” ধারিণী। এতদিন একটা গুরুতর আবেগভরে ক্লান্ত ছিলেন। সেই আবেগের কারণ, রাজার সহিত মালবিকার পরিণয়-আজ সম্পন্ন হইল। ধারিণীর হৃদয়ও আবেগ-শূন্য হইল। নিস্তরঙ্গ, স্রোতোহীন বিশীর্ণবক্ষঃ তটিনীর ন্যায় তাহার হৃদয় যেন একবারে স্থির ও ক্ৰমে নিস্তেজ হইয়া পড়িল । উৎসাহের অবসানে প্ৰাণে একটা অবসাদ আসিল । আর মালবিকা,-মালবিক রাজার কন্যা হইয়া পথে পথে, বনে বনে, নগরে নগরে, ভিখারিণীর ন্যায়। ভ্ৰমণ করিতে করিতে রাজবাড়ীতে আসিয়াছিলেন। ভ্ৰাতা মাধবসেন। যদি কারারুদ্ধ না হইতেন, তাহা হইলে এতদিন কবে রাজার করে মালবিকা অপিত হইতেন। তাহ হয় নাই । সেই সঙ্কল্পিত রাজার প্রাসা