পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ፃ 8 কালিদাস । তঁহার হৃদয় বিনয়ভূষণে বিভূষিত ছিল । রাজা অগ্নিমিত্র শত দোষ করিলেও, তঁহার স্বামী, ইহকাল ও পরকালের দেবতা, সুতরাং ক্ষমাৰ্ছ, একথা তিনি নিয়তই মনে রাখিতেন। তিনি জানিতেন যে, র্যাহাকে ভাল বাসিয়াছি, তাহার অত্যাচার, অবিনয়, আমি ব্যতীত কে সহা করিবে ? তাই তিনি, রাজার সকল ব্যবহারই অবনতমস্তকে মানিয়া লইতেন। ইরাবতী আর ধারিণীতে এই অংশেই প্ৰভেদ। ইরাবতী মাত্ৰ ভোগের সামগ্ৰী, তাই কবি, ভোগের ব্যাঘাত ঘটাইয়া সে ভোগ্য বস্তুও ব্যাহত করিলেন। আর ধারিণী—ভোগের নহে, ভোগ অপেক্ষা অনেক উচ্চ, অনেক অনুপম, গভীর প্রণয়ের মূৰ্ত্তি, তাই তিনি, র্তাহার প্রণয়াস্পদের প্রধান অভীষ্ট পূরণ করিয়া, আপন প্ৰণয়ব্ৰতের উদযাপন করিলেন। প্ৰৌঢ়া মহারাণী ধারিণী জানিতেন যে, মালবিকার সহিত রাজার পরিণয় হইলে, প্রকৃতপক্ষে, তরুণী মালবিকাই বিদিশার অধীশ্বরী হইবেন, অগ্নিমিত্রের হৃদয়ের অধিদেবতা হইবেন। তবুও = তিনি যেমন বুঝিলেন যে, মালবিক ব্যতীত তঁহার উপাস্য । দেবতার হৃদয়-রঞ্জন অসম্ভব, অমনিই, আত্ম-সুখে জলাঞ্জলি দিয়া, মহারাণী হাসিতে হাসিতে মালবিকাকে ধরিয়া রাজার হাতে তুলিয়া দিলেন। ধারিণী, বাধা দিলে, অগ্নিমিত্রের মালবিকালাভ হয়ত অত সহজে হইত না, অথবা হইতই না। ধারিণী নিজে পাটরাণী, আর র্তাহার শ্বশুর, যিনি অগ্নিমিত্রকে সিংহাসনে । প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, তিনি এখনও জীবিত, পুত্র দিগ বিজয়ী