পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«9ዓዪ§ কালিদাস । করিতে না পারিলে, আর তঁহার হৃদয়েশ্বরের পতিত হৃদয়ের উদ্ধার করিতে পরিবেন না, তখন ধীরে ধীরে, মালবিকারূপী তীব্ৰ ঔষধের- যে ঔষধ সেবন করিবার নিমিত্ত, তাহার স্বামী স্বতই অভিলাষী, সেই ঔষধের প্রয়োগ করিলেন। ইরাবতী র্তাহার সত্যই আতিশয় প্ৰিয় ছিলেন, কিন্তু রাজা অগ্নিমিত্ৰ তাহার প্রাণাধিক প্রিয়তর-সর্বাপেক্ষ প্ৰিয়তম ছিলেন, তাই প্রিয়তমের হিতার্থে, আত্ম-সুখের তথা প্রিয় ইরাবতীর বিসর্জন Cिव्लन । . কবি, তঁহাকে রঙ্গমঞ্চে নানারূপে উপস্থাপিত করিয়াছেন, কিন্তু সে সমস্ত রূপই ভারতেশ্বরীর অনুরূপ। তিনি যখন শুনিলেন যে, পুত্ৰ বসুমিত্ৰ তুরঙ্গ-রক্ষায় নিরত, যুদ্ধ-বিগ্ৰহাদিতে ব্যস্ত, তখন, ব্ৰাহ্মণদিগকে আহবান করিয়া বলিলেন, “আপনার শান্তি স্বস্ত্যয়ন করুন, আপনাদের মাসিক আটশত সুবর্ণমুদ্রা বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত হইল।” কাহারও মুখাপেক্ষা নাই, নিজেই যেন তিনি রাজ্যের সর্বময়ী । • আত্ম-গৌরব, আত্ম-পদমৰ্য্যাদা তিনি বিশেষভাবে রক্ষা করিতে জানিতেন । যখন ইরাবতী আসিয়া, তঁহার নিকটে মালবিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিলেন, তখন ধারিণী, অবিচারিত হৃদয়ে, মালবিকাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিতে আদেশ দিলেন । যেন তিনিই রাজ্যের তথা রাজা অগ্নিমিত্রের অদ্বিতীয় শাসনকত্রী। মালবিকার নৃত্য-কালে, যখন পরিব্রাজিক ধারিণীকে রাজার প্ৰতিকুলে উত্তেজিত করিবার আশায়, বলিয়াছিলেন যে, উনি