পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$t衔命日 qoዓ ዓ যেমন রাজা, দেবি ! তুমিও ত তেমনই মহারাণী, তুমি কম কিসে? তখন ধারিণী, কোনই উত্তর দেন নাই, বরং মনে মনে বলিয়াছিলেন ‘মূঢ়ে পরিব্রাজিকে। আমি জাগরিত, আর তুমি ভাবিতেছ। যে আমি সুপ্ত ? অর্থাৎ তুমি আমাকে আমার পতির বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতে চাও ? তোমাদের অভিপ্রেত মালবিকা-নৰ্ত্তন আমার দ্বারা অনুমোদিত করাইয়া লইতে চাও ? আর তোমার নিজের নিরপেক্ষতার ভান দেখাইতে চাও ? বিদূষকের কৌশলে, গণদাস ও হরদত্তের বিবাদ বাধিলে, যখন পরিব্রাজিক শিষ্যবিদ্যাদ্বারা আচাৰ্য্যের গুণবত্তা পরীক্ষা করিতে মনন করিলেন, এবং তদনুসারেই গণদাস-শিষ্যা মালবিকার নৃত্যগীতাদির অনুষ্ঠান হইল, তখন মহারাণী বুঝিয়াছিলেন যে, কি একটা যেন গভীর ষড়যন্ত্র হইয়াছে ; রাজা, বিদূষক, পরিব্রাজিক, এমন কি, পরিচারিকা-গণ , পৰ্যন্ত সে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ধারিণী ইচ্ছা করিলেই মালবিকুর নৃত্যে বাধা দিতে পারিতেন, সকলের সকল গুঢ় অভিপ্ৰায়ই অন্ধুরে বিনষ্ট করিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি তাহ করেন নাই। তিনি যে চক্রান্তটি বুঝিতে পারিয়াছিলেন, তাহা কবি, মধ্যে মধ্যে, ধারিণীরই কথা দ্বারা ইঙ্গিত করিয়াছেন। রাজার সহিত মালবিকার মিলন হউক, ইহা ধারিণীর আন্তরিক বাসনা ছিল। ইরাবতী নৃত্য-গীতাদি-কলায় সম্যক পারদর্শিনী ছিলেন, মালবিকা যদি, ঐ সকল বিদ্যায় তাদৃশী বা ততোধিক পারদর্শিনী না হয়েন, তবে অগ্নিমিত্রের ইরাবতী-বিমুগ্ধ-হৃদয় আকৃষ্ট করা যে বড়ই