পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদুষক । (ܝ( অবসরে, বিদূষক, উদ্যানে দোহদকারিণী মালবিকার সহিত রাজার সাক্ষাৎ করাইয়া দিলেন । ইরাবতী-কৃত-অভিযোগে যেন ক্রুদ্ধ হইয়াই, মহারাণী ধারিণী যখন মালবিকাকে ‘সার-ভাণ্ড-গৃহে আবদ্ধ করিলেন, এবং বলিয়া দিলেন যে, আমার এই অঙ্গুরীয়ক-প্ৰদৰ্শন ব্যতীত যেন ইহাকে কেহ মুক্ত না করে, তখন এই বিদূষকই কেতকী-কণ্টক-দ্বারা অঙ্গুলী ক্ষত করিয়া, সর্পাঘাত বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে মূচ্ছিত হইয়াছিলেন। পরিব্রাজিকার সহিত পূর্বেই পরামর্শ ছিল। পরিব্রাজিক বলিলেন, “এ বিপদ হইতে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় ‘নাগমণি ৷” নাগা-মণি স্পর্শে সাপবিষ বিনষ্ট হয়। কোথায় নাগমণি মিলিবে ?” দয়াবতী ধারিণী ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, ‘কেন, আমার এই অঙ্গুরীয়কেই ত নাগমণি আছে, ইহা লইয়া যাও, গৌতমের অগ্ৰে প্ৰাণ রক্ষা কর, তারপর অন্য কাৰ্য্য”। ধারিণী অঙ্গুরীয়ক খুলিয়া দিলেন, আর ধূৰ্ত্তপ্রবর গৌতম অমনি, সেই অঙ্গুরীয়ক প্ৰদৰ্শন করিয়া অবরুদ্ধ মালবিকার উদ্ধার সাধন করিলেন। এইরূপে, যখন যে স্থানে রাজার অভিপ্ৰায় সাধনের পথে কোন প্রকার অন্তরায় উপস্থিত হইয়াছে, তখনই বিদূষক স্বীয়, অক্লান্ত অধ্যবসায় এবং অপরিচ্ছেদ্য নৈপুণ্য বলে, তাহার তিরোধান করিয়াছেন। বিদূষকের সম্মুখে যেরূপ প্ৰতিবন্ধকই আপতিত হউক না কেন, তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার অপ সারণ করিয়াছেন। - ভবিষ্যতে কি হইবে, པ་ रिठां ऊँशिद्ध छिल না । তিনি করিতেও জানিতেন না । অথবা র্যাহারা পর