পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O কালিদাস । বিরাট কল্পনার বিচিত্র-প্রভাব-দর্শনে, আনন্দে, বিস্ময়ে বিহবল হইয়া পড়ি । মৰ্ত্তধাম ছাডিয়া প্ৰাণ এক অচিন্তিতপূর্ব অমৃতময়-রাজ্যে উপস্থিত হয়। এ প্রকার কত দেখুইব মহাকবি কালিদাস, তদীয় অসাধারণ-ক্ষমতা-বলে এবং অলৌকিক প্ৰতিভালোকে, স্থল-বিশেষে, ব্যাস-বাল্মীকিকেও যেন কিয়ত্পরিমাণে নিম্প্রভ করিয়াছেন। রামায়ণ বা মহাভারতে, যে যে বিষয় অতি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বৰ্ণিত হওয়ায়, পাঠকের ঈষৎ ধৈৰ্য্য-চ্যুতির সম্ভাবনা ঘটিয়াছে, সেই স্থলে কালিদাস, অতি সতর্কহস্তে তাহার সংশোধন করিয়াছেন। যতটুকু বৰ্ণনা পাঠকের আকাঙক্ষী-বারিণী সুতরাং হৃদয়-গ্ৰাহিণী રંશજ পারে, অথবা যতটুকু বৰ্ণনায় পাঠকের আকাঙ্ক্ষার শেষ না হইয়া, সৌন্দৰ্য্য-দৰ্শন-লালসা আরও প্রবল হইয়া উঠে, তথায় মাত্র তৎ-পরিমিত বৰ্ণনা করিয়াই কালিদাস বিরত হইয়াছেন। সুতরাং ব্যাস-বাল্মীকি অপেক্ষ তদীয় বর্ণনা পাঠকের সমধিক মনোহারিণী হইয়াছে। এতাদৃশ সামর্থ্য, আত্ম-সত্তায় এত অধিক বিশ্বাস যদি তাহার না থাকিবে, তবে, যে দেশের প্রতি গৃহে, দীর্ঘ কাল হইতে, রামায়ণ-মহাভারত প্ৰভৃতি পঠিতু, গীত এবং ভক্তির সহিত শ্রুত হইয়া আসিতেছে, সেই দেশের সেই সমাজে, সেই রামায়ণ মহাভারতের বর্ণিত বিষয়ের তিনি পুনবর্ণনা করিতে গেলেন কেন ? তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, রামায়ণ মহাভারত প্রভৃতি যে প্রকার দীর্ঘ, স্থলবিশেষে যে প্রকার উৎকট কল্পনায়