পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(SV कॉलिज ! পূরণ করিলেন। তঁহার উপর মহারাণী ধারিণীর অপার বিশ্বাস। পরিব্রাজিকার অনুমতি ব্যতীত, পরিব্রাজিকার পরামর্শ ব্যতীত, মহারাণী কোন কাৰ্য্যই করিতেন না । এইভাবে, রাজা ও রাজ্ঞীর পরম বিশ্বাসভাজন হইয়া, পরিব্রাজিক মহা সম্মানের সহিত, রাজ-প্ৰাসাদে কালাতিপাত করিতে লাগিলেন। কিন্তু দিগ-দৰ্শন যন্ত্রের শলাকা যেমন নিয়ত উত্তরমুখী থাকে, কোন তই তাহার ব্যত্যয় হয় না, তদ্রুপ, তাহারও চিত্ত, প্ৰতিনিয়ত পরিচারিকা মালবিকার উপর স্থির ছিল । কোনক্ৰমেই সে হৃদয় মালবিকা-পরামুখ হইত না। রাজ-নন্দিনী মালবিকা অদৃষ্টবশে পরিচারিকবৃত্তি গ্ৰহণ করিয়াছেন, আর তাহার সৌভাগ্য-দেবতা যেন ছদ্মবেশে রাজ-সংসারে আসিয়া, তঁহারই শুভানুধ্যানে রত রহিয়াছেন। রাজ-সংসারের কেহই জানিত না যে, তাহার সহিত মালবিকার কি সম্বন্ধ । পরিব্রাজিক নিয়ত নির্লিপ্ত-ভাবে থাকিতেন সত্য, কিন্তু রাজ-সংসারের কোথায় কখন কি ব্যাপার ঘটে, তৎপ্রতি তিনি বিশেষ লক্ষ্য রাখিতেন। কোন কাৰ্য্যই তঁহার দৃষ্টি এড়াইতে পারিত না । প্ৰতিভাবলে, তিনি, রাজ-প্ৰাসাদের সর্ববিষয়ের এক প্রকার কত্রী হইয়া উঠিয়াছিলেন ; নতুবা, ভারতেশ্বরের নাট্টাচাৰ্য্যগণের বিবাদ-মীমাংসায় তিনি রমণী হইয়াও মধ্যস্থ হইবেন কেন ? তাহার বিদ্যাবত্তায়, তাহার নিরপেক্ষতায় এবং ততোধিক তঁহার অলুব্ধতায় রাজ-সভার তথা অন্তঃপুরের সকলেই বশীভুত ছিলেন। যখন যখন মালবিকা বিপন্ন হইয়া