পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজিক । SON) ছেন, তখনই তিনি সে বিপদের প্রতিবিধান করিয়াছেন, কিন্তু কেহই তাহা বুঝিতে পারিত না। মালবিকার অবরোধের কথা তিনিই প্ৰথমে বিদূষককে জ্ঞাপন করিয়াছিলেন,নাগমণির দ্বারা যে সাপবিষের ধ্বংস হয়, এ রহস্য তিনিই প্ৰকাশ করিয়া ধারিণীর অঙ্গুরীয়ক-লাভের সুযোগ করিয়া দিয়াছিলেন। আবার তিনিই ধারিণী-কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইয়া, পরিণয়-কালে মনের মত করিয়া মালবিকাকে সাজাইয়াছিলেন। রাজ-প্ৰাসাদের নানাবিধ কুটচক্রান্তের মধ্যে থাকিয়াও, পরিব্রাজিক স্বীয় উদ্দেশ্য সুসিদ্ধ করিয়াছিলেন। তাহার স্বৰ্গগত অগ্ৰজ সুমতির পরামর্শানুসারে মাধবসেন মালবিকাকে অগ্নিমিত্রের সহিত বিবাহ দিতে আসিতেছিলেন, দৈবদুর্বিপাকে তাহা ঘটিয়া উঠে নাই। অগ্রজের অভিলাষ পুৰ্ণ হয় নাই। সোদরা পরিব্রাজিক এই দীর্ঘকাল আত্ম-গোপন করিয়া, কত কষ্টে থাকিয়া, অগ্রজের সে অভিলাষ পূর্ণ করিলেন। মাধবসেনের ভবিষ্যৎ জীবনের উন্নতির দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিলেন। ভারতেশ্বরের সহিত সৌহার্দ স্থাপিত করিয়া দিলেন। অন্তর্বিপ্নবানল-দগ্ধ বিন্দর্ভে মাধবের সিংহাসন সুপ্ৰতিষ্ঠিত করিয়া গেলেন। মালবিকাকে রাজার করে সমর্পণ করার পর, যখন ধারিণী বুঝিলেন যে, “এতদিনে তঁহার আত্ম-বলিদান হইল, ইরাবতীও । যাহা করিতে পারেন নাই, তাহা সম্পূর্ণ হইল, রাজ-সংসারে: ধারিণীর থাকা এখন প্রতিপদে বিড়ম্বনাময়”—তখন, ধারিণীর মুখচ্ছবি-দর্শনেই পরিব্রাজিকা তদীয় হৃদয়-ভাব বুঝিতে পারিয়া,