পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(OS কালিদাস। তঁহাকে প্ৰবোধচ্ছলে বলিলেন- “সাধবী পতিবৎসল কামিনীরা পরম শত্রুর দ্বারাও পতির সেবা করিয়া থাকেন, রাজ্ঞি । “সাগর-গামিনী স্রোতোবহা’ যেমন নিজে সাগরের সহিত সঙ্গত হয়, তেমন আর দশটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদীকেও লইয়া সমুদ্রে মিলাইয়া দেয়। সুতরাং তুমি বিমনা হইও না।” পরিব্রাজিক যেন কিছুই জানেন না। সকলই যেন ধারিণী করিয়াছেন। প্ৰকৃত পক্ষে দেখিতে গেলে, ধারিণী চরিত্র অপেক্ষা পরিব্রাজিক-চরিত্র অধিকতর চমৎকারিতাময়, নিপুণ ও প্ৰতিভাপূর্ণ বলিয়া মনে হয়। ধারিণী মালবিককে ভাল বাসিতেন, কন্যাধিক স্নেহ করিতেন। ইরাবতীর গর্ব খর্ব করিতে যাইয়া, তিনি নিজেও অনেকটা খর্ব হইলেন । আর পরিাব্ৰাজিকাও भांब्याविकारक थां१ शिा उांन ভাসিতেন, সে ভাল বাসার পরিচয়স্বরূপ তিনি মালবিকাকে পূর্ব-সঙ্কল্পিত পাত্রে সম্প্রদান করিয়া, স্বয়ং অক্ষত-চরিত্রে বাহির হইলেন । ধারিণীর স্নেহে একটু স্বাৰ্থ ছিল। পরিব্রাজিকার স্নেহ নিঃস্বার্থ। স্বাৰ্থপূর্ণ স্নেহের পরিণাম যে মঙ্গলজনক নহে, মালবিকার পরিণয়ন্তে ধারিণী তাহা বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলেন, কিন্তু তখন আর উপায় নাই। অক্ষ তখন হস্তচু্যত । ধারিণীর স্বার্থগন্ধি মেহের পরিণাম দুঃখময় ; আর পরিব্রাজিকার নিঃস্বার্থ স্নেহের পরিণাম সুখময়, মঙ্গলময়, তিনি যে রাজ্যের অধিবাসিনী, সেই বিন্দর্ভের অশেষ-কল্যাণময়। যে স্থানে নিঃস্বাৰ্থ স্নেহের নির্বর প্রবাহিত, সে স্থানের অভু্যুদয় নিশ্চিত। বিন্দর্ভের