পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 SO কালিদাস । চিত্তে, সেই পরমোপকারী পুরন্ধবরার শাস্তোঙ্গস্থল মূৰ্ত্তির ধ্যান করিতে লাগিলেন। উর্বশী যখন বীরবর পুরূরবার চিন্তায় এইরূপ বিমূঢ়-হৃদয়া, তখন সুরপতি ইন্দ্রের সভায়, নাট্টশাস্ত্রের আদি কৰ্ত্তা ভরতমুনির প্রণীত লক্ষনীস্বয়ংবর নামক নাটক অভিনীত হইতেছিল। সেই অভিনয়ে উৰ্ব্বশী লক্ষনীর ভূমিকা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। অমরাবতীর রঙ্গমঞ্চে, যখন স্বর্গের তাবৎ লোক-পাল-গণ, এমন কি, বিষ্ণু পৰ্যন্ত সমাসীন হইয়াছেন, তৈখন বারুণী-ভূমিকা-ধারিণী মেনকা, স্বয়ং-বরার্থিনী, পরিগৃহীতলক্ষনী-বেশী, উর্বশীকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, লক্ষিম ! কোন অমরের উপর তোমার হৃদয় অভিনিবিষ্ট হইয়াছে ? অন্যমনস্কা উর্বশী মেনকা কর্তৃক এইভাবে জিজ্ঞাসিত হইয়া, “পুরুষোত্তমের উপর” এই কথা বলিতে যাইয়া, ‘পুরষ্করবার উপর, এই কথা হঠাৎ বলিয়া ফেলিলেন। ভরতমুনি স্বয়ং অভিনয়স্থলে উপস্থিত থাকিয়া, অভিনেয় পদার্থের সৌষ্ঠব সম্পাদন করিতেছিলেন। তিনি উর্বশীর মুখে এই প্ৰকার প্রস্তুত-বিরোধী কথা শ্রবণ করিয়া, ক্ৰোধ-পর-বিশ-চিত্তে, তাহাকে অভিসম্পাত । করিলেন, “তুমি অচিরাৎ মানুষী হও, অপ্সরা কুলের তুমি কলঙ্কিনী ।” বীরশ্ৰেষ্ঠ পুরস্কারবা, অনেক সময়ে, অসুরযুদ্ধে ইন্দ্রের সহায়তা করিতেন; তাঁহার শৌৰ্য্যবীৰ্য্যে সুরিনাথ অত্যন্ত বিমুগ্ধ ছিলেন। ভারতের অভিশাপ-শ্রবণে, ইন্দ্ৰ বলিলেন যে, উর্বশী মানুষী হউক, কিন্তু যাহার জন্য উর্বশীর এই নিগ্ৰহ, তিনি আমার পরম