পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লতাময়ী উৰ্ব্বশী । 8Ra) “যদাহ ভবতী”-যাহ বল, অর্থাৎ, “চল।” কোথায় কৈলাস শিখরে গন্ধমাদন বন ? আর কোথায় কত দূরে, প্ৰয়াগোপকণ্ঠবৰ্ত্তিনী সেই প্ৰতিষ্ঠান-নগরী ? যখন আসিয়াছিলেন, তখন রাজা এবং উর্বশী-উভয়েই একটা বিষম উন্মাদের অধীন ছিলেন, একটা অপরিচ্ছেদ্য মোহে বিমূঢ় ছিলেন। তখন গন্তব্যস্থানের দূরত্ব-চিন্তার তঁহাদের অবসরই ছিল না, বা সে চিন্তার উদয়ও হয় নাই। মােহে যখন টানিয়া লইয়া যায়, তখন “কোথায় যাইতেছি।’ - এ জ্ঞান থাকে না । এখন মোহ অনেকটা কাটিয়াছে, সে তন্দ্ৰা, সে অবশতা আর তেমনটি নাই, আর তাহ থাকেও না । থাকিলে কখনো আজ উর্বশীর মনে একথা জাগিত না যে, অনেক দিন রাজা রাজধানীতে অনুপস্থিত, ইহা আমার পক্ষে মঙ্গল-জনক নহে। উর্বশী রাজাকে লইয়া আসিয়াছেন, নতুবা রাজার এত দূরে, এ অগম্য স্থানে আসিবার সামর্থ্য ছিল না । আজ ফিরিয়া যাইতে হইবে,-ইহাতেও রাজার সামর্থ্য নাই। রাজা উৰ্বশীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। উর্বশী কহিলেন, “মহারাজ ! কি উপায়ে আপনি দেশে शिद्भिशं यशङ शन ?°-द्रङा বলিলেন “খেল-গমনে ! তুমি মেঘময়ী হও, আমি সেই মেঘযানে প্ৰতিষ্ঠানে যাত্ৰা করি।” কামরূপিণী উর্বশী “আচ্ছা” বলিয়া মেঘের আকার ধারণ করিয়া, রাজাকে লইয়া, সেই কৈলাস-শিখর হইতে,আকাশপথে প্ৰয়াগাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। এত দিন, তবুও, রাজা এবং উর্বশী-দুইজনের অন্ততঃ নামতঃ