পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরূঢ়বার উন্মাদ । 63 O»*Q এস্থলেও রাজার উক্তি বেশ শৃঙ্খলা-পূর্ণ। তিনি উর্বশী এবং পৃথিবী উভয়েরই পতি, কিন্তু এই উভয়ের মধ্যে, উৰ্ব্বশীই র্তাহার প্রধান পত্নী, পরে পৃথিবী, তাই প্রথমেই উর্বশীর নাম। সম্মুখে পদ্ম প্ৰস্ফুটিত, তাহার মধ্যে ভ্ৰমর নিষগ্ন হইয়া, মধুবৰ্ষী গুণ গুণ, রবে সরাসী-বক্ষে কেমন একটা আবেশময় ভাবের আনয়ন করিয়াছে। রাজা সেই * অন্তঃকণিতি-ষটপদ’’’ পদের দিকে অনিমেষ-নিয়নে চাহিয়া আছেন, তাহার ধারণা, শতদল বুঝি অস্ফুট কুসুমের ভাষায়, তাহার উর্বশীর সন্ধান বলিতেছে । O কখনো ‘উর্বশি । উৰ্বশি ’ বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতেছেন, পর্বতের কন্দরে কন্দরে সেই শব্দ প্ৰতিধ্বনিত হইতেছে, আর রাজা “উর্বশী” নাম শুনিয়া, সেই দিকে দ্রুতপদে যাইতেছেন ; কিন্তু কোথায় উর্বশী ? অমনি মূচ্ছিত হইয়া ভূতলে পতিত হইতেছেন । কখনো রাজা, বীচি-মালিনী, বিহগ-শ্রেণি-রশনা, ধবল-ফেনবসনা, ললিত-গতি, কলবাহিনী, তটিনীর তীরে যাইয়া বসিতেছেন, উর্বশীর ভ্ৰা-নৰ্ত্তন-তুল্য সেই বীচি-বিক্ষোভ, রশন-তুল্য বিহগ পঙক্তি, ধবল-বসন-সদৃশ, ফেন-পুঞ্জ, আর উর্বশীর সেই বিলাস গতিবৎ, তটিনীর ললিত গমন-প্ৰভৃতি অনিমেষ-নিয়নে নিরীক্ষণ করিতেছেন, উন্মত্ত নৃপতির ধারণা, তাহার উর্বশীই বুঝি, এই নদী-রূপে পরিণত হইয়াছেন, নতুবা নদী এসব সম্পদ কোথায় °३व्ल ?