পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 कक्षाज । সমস্ত দেহে, সমস্ত কাৰ্য্যে, যেন কি একটা বিষম অনাসক্তি, বিষম উদাস আসিয়াছে। কিছুতেই আর পূর্ববৎ রতি নাই। রাজা পূর্বের ন্যায় সমস্ত কাৰ্য্যই করেন সত্য, কিন্তু সে সমুদয়ে যেন প্ৰাণের অভাব। তিনি বা তাপহৃত তৃণের ন্যায় অবশ-ভাবে কৰ্ত্তব্যের অনুসরণ করেন মাত্র, কিন্তু নিয়তই নিরুৎসাহ, বিমূঢ়,একবারে জড়বৎ। । রাজ্যের অন্য কেহ রাজার চিত্তের এই আকস্মিক পরিবর্তন লক্ষ্য না করিলেও, ইহা কিন্তু রাজমহিষী সাধবী ঔশীনারীর চক্ষু এড়াইতে পারিল না । তিনি ছায়ার ন্যায় রাজার অনুবৰ্ত্তিনী থাকিয়া, তাহার এই বৈমনস্যের কারণ অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। কিছুতেই যখন কারণ-নির্দেশে কৃতকাৰ্য্য হইলেন না, তখন দেবী, পরিচারিকাকে বলিলেন ‘নিপুণিকে । আৰ্য মানবক রাজার অভিন্ন-হৃদয় বন্ধু, তুমি যাও, যে ভাবে পার, সেই বিদূষকের নিকট হইতে রাজার এই ঔদাসীন্যের কারণ জ্ঞাত হইয়া আইসি।” (১) দেবীর নির্দেশানুসারে, চতুরা নিপুণিকা বিদূষকের নিকট হইতে, সমস্ত বৃত্তান্ত-কেন রাজার এমন ঔদাসীন্য, কাহার জন্য র্তাহার এতাদৃশ্য চিত্তচাঞ্চল্য,-জানিয়া আসিয়া দেবীকে বলিল। দেবী, প্রথমতঃ, মনে মনে বিষম প্ৰমাদ গণিলেন। শেষে দেখিলেন, অধীর হইলে চলিবে না। যদি প্লারা যায়, তবে ধীর ভাবে ইহার প্রতিবিধান করিতে হইবে। কিন্তু সহসা পতির ইচ্ছার বিরুদ্ধে কথা কহিতে তাহার প্রবৃত্তি হইল না। তিনি (:) বিক্রমোর্বিশী-২য় অঙ্ক। প্ৰথম অংশ।