পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R कॉलिज । শিরে আপনিই পদাঘাত করিয়া, স্থির করিলেন, রাজার সহিত, নিজে উপযাচিক হইয়া সাক্ষাৎ করিবেন । সে দিন রাজার অনুনয়ে কৰ্ণপাত করেন নাই, স্বামীর ‘প্ৰণিপাত লঙ্ঘন’ করিয়াছেন, — ঘোর অন্যায় কৰ্ম্ম করিয়া বসিয়াছেন, সেই অপকৰ্ম্মের প্রায়শ্চিত্ত করিবেন। এ প্ৰায়শ্চিত্ত হিন্দুর ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে নাই। ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্ৰায়শ্চিত্ত যতই গুরুতর হউক না কেন, কিন্তু তাহা অসাধ্য নহে, আর এ কবির প্রায়শ্চিত্ত, অন্যের পক্ষে অসাধ্য, মাত্র ঔশীনারীর ন্যায় আদর্শ রমণীর সাধ্য। ইহার দণ্ড, চিরদিনের মত আত্ম-সুখে বিসৰ্জন । তিনি চিত্তের স্থৈৰ্য্য-সম্পাদন-পূর্বক, , রাজ-মহিষী-সমুচিত বেশভূষা পরিত্যাগ করিয়া, সংযমিনী ব্ৰহ্মচারিণীর পরিচ্ছদ গ্ৰহণ করিলেন । মনে মনে সঙ্কল্প করিয়া ব্ৰত-গ্ৰহণ করিলেন । ব্ৰতের নাম ‘প্রিয়-প্ৰসােদন।” উদ্দেশ্য, প্রিয়তমের প্রসন্নতা-বিধান। এই সঙ্কল্প হৃদয়ে ধারণ করিয়া, দেবী, পরিচারিকা নিপুণিকার মুখে মহারাজকে বলিয়া পঠাইযে, আমি এক ব্ৰত গ্ৰহণ করিয়াছি, তাহার সম্পাদনকাল নিকটবৰ্ত্তী একটিমাত্র দিনের জন্য আমি মহারাজের দর্শনার্থিনী। অভিমান-গৰ্বিত পুরূরবী মহিষীর এ কথার কোনই উত্তর দিলেন। না। কয়েক দিন কাটিয়া গেল। মহিষী আবার বৃদ্ধ কাঞ্চকীর দ্বারা সংবাদ পাঠাইলেন যে, ব্ৰত সম্পাদনের নিমিত্ত আজ মহিষী৷ সন্ধ্যা-বন্দনাদি সম্পন্ন করিয়া রাজার নিকটে যাইবেন । দেখিতে দেখিতে দিনমণি অস্তাচলে আশ্রয় লইলেন । সায়ংকালের রক্তবসনের অবগুণ্ঠন ঈষদুন্মোচিত করিয়া, ক্ৰমে বিশ্ববিমোহিনী