পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী ঔশীনারী । 8 O VO রজনী, ললাটে যেন ইন্দুরূপী স্নিগ্ধ সিন্দুরবিন্দু পরিয়া, হাসিতে হাসিতে,সঁহচরী নিদ্রার সহিত, মৃদু-মন্দ-পদ-ক্ষেপে ভুবনে অবতীর্ণ হইলেন। এদিকে দেবীর নির্দেশানুসারে পৃথিবী-পতি পুরূরিবাও, বয়স্য সমভিব্যাহারে, সুরম্য মণিহাৰ্ম্ম্য-প্ৰাসাদে গমন করিলেন। প্রাসাদে উপনীত হইয়া, পুরূরবাস-প্রত্যাশ-হৃদয়ে বুসিয়া আছেন, এক এক বার, তাহার হৃদয়ে উর্বশীর কথা জাগিতেছে, বিদূষকের সহিত তদ্বিষয়ক কথোপকথন করিতেছেন, আবার পর মুহূৰ্ত্তেই দেবীর আপতনভয়ে, কথান্তরে সে প্রসঙ্গ গোপন করিতেছেন ;-এমন সময়ে, দেবী ঔশীনারী ব্ৰহ্মচারিণীর বেশে, সেই প্রাসাদে প্ৰবেশ করিলেন। পরিজনবৰ্গ, নানাবিধ ব্ৰতোপহার লইয়া, তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ উপনীত হইল। প্রাসাদে প্ৰবেশকালে, দেবী, একবার নীলগগনের বিমল শশাঙ্কের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। রোহিণীর. সহিত সম্মিলিত হওয়ায়, সে দিন চন্দ্রের শোভা যেন শতগুণ হইয়াছিল। তারা-পতির সেই মিলনের ছবি দেখিতে দেখিতে, বিয়োগিনী দেবী বলিলেন “আহা ! রোহিণী-যোগে, মৃগাঙ্কের আজু কি অপূর্ব শোভাই জন্মিয়াছে।” আমনি তাহার। প্ৰগলভা। পরিচারিকাও বলিল, “দেবীর সহযোগে আজ আমাদের ভৰ্ত্তারও এইরূপ শোভা জন্মিবে।” দেবী পরিচারিকার কথা শুনিয়াও যেন শুনিলেন না। একবার অলক্ষ্যে র্তাহার একটি দীর্ঘ-নিশ্বাস পতিত হইল। দেবী যখন প্রাসাদ মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন, * তখন পুরুন্ধর বা তাঁহাকে দেখিতে লাগিলেন,-দেখিলেন, আজ