পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VS শকুন্তলে, দুষ্যন্ত ও শকুন্তলা—উভয়কেই অনিন্দ্য-চরিত্রের আধার করিয়া, উজ্জ্বল-আদৰ্শ-চরিত্র-সম্পন্ন করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। কুমার, মেঘদূত এবং রঘুবংশের পৌৰ্বাপৰ্য্য সম্বন্ধে সাধারণতঃ এই রূপই প্ৰতীতি জন্মে। কিন্তু নিম্নোক্ত যুক্ত্যনুসারে ইহার {বৈলক্ষণাও উপলব্ধ হয়। :- { কালিদাস অসামান্য কল্পনা-শক্তি লইয়া ভূমণ্ডলে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। প্ৰথম বয়সে, যখন মানব নিজের জন্যই ব্যগ্ৰ থাকে, আপনার চিন্তা ব্যতীত পরের চিন্তা করিতে ততদূর । সমর্থ হয় না, সেই সময়ে, জীবনের সেই প্ৰভাতকালে, নবীন কবি বোধ হয়, মেঘদূতের সৃষ্টি করেন। মিলন অপেক্ষা বিয়োগে প্ৰণয়ের চিত্র সমধিক পরিস্ফুট হয়, উহার বাস্তব স্বরূপ এবং দৃঢ়তা প্ৰকাশিত হয় ; তাই কবি, চিরবিলাসমগ্ন বিরহীর চিত্র করিয়াছেন। এত বড় বিশাল ভারতবর্ষে তিনি তাহার র মত নায়ক নায়িকা খুজিয়া পাইলেন না, মনের মত ভোগের ভূমি খুজিয়া পাইলেন না, তাই কবি, তাহার সেই নবীন, অব্যয়িত প্রতিভার প্রখর অলোকে, ভারতবাসীর মুখে, মানব-কল্পনার অতীত, স্বর্গের ভোগময়ী ভূমির চিত্র স্তাসিত করিয়াছেন। ... কিন্তু ইহাতেও কবির পরিতৃপ্তি হইল না। তিনি ক্ৰমে বুঝিলেন যে, ভোগের চিত্র অনুপম হইয়াছে সত্য, কিন্তু জগতে ভোগই ত আৰ্য্য-হৃদয়ের চরম প্রার্থনীয় নহে, ভাগ অপেক্ষাও ত সাধুতর-উচ্চতর বস্তু আছে, একবার সেই দেখিতে হইবে। মেঘদূতের নায়কের দৃষ্টান্তে যদি