পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। কুমারের বৃত্তান্ত । কুমার-সম্ভবের “স্কুলবৃত্তান্ত এই ঃ—তারক নামে এক মহাবল পরাক্রান্ত অতি দুৰ্দান্ত অসুর, ব্ৰহ্মদত্ত বরের প্রভাবে, অত্যন্ত গর্বিত ও দুৰ্জয় হইয়া, দেবতাদিগকে স্ব স্ব অধিকার হইতে চু্যত করিয়া স্বয়ং স্বৰ্গরাজ্য অধিকার করে। দেবতারা দুৰ্দশাগ্ৰস্ত হইয়া, ব্ৰহ্মার শরণাগত হইলে, তিনি তঁহাদিগকে এই বলিয়া আশ্বাস-প্ৰদান করেন যে,পার্বতীর গর্ভে শিবের যে পুত্ৰ জন্মিবেন, তিনি তোমাদের সেনাপতি হইয়া, তারকাসুরের প্রাণ-সংহার করিয়া তোমাদিগকে পুনর্বার স্ব স্ব অধিকার প্রদান করিবেন। তদনুল সারে দেবতারা উদযোগী হইয়া হরগৌরীর” প্ৰণয় সম্পাদনাৰ্থে কন্দৰ্পকে নিযুক্ত করেন। কন্দৰ্প সমাধিস্থ বিরূপক্ষের ধ্যানভঙ্গে উদ্যত হইলে, বিষম-নেত্রের রোষ-কষায়িত-ললাট-নয়ন-নিৰ্গত অগ্নিশিখা, তাঁহাকে ভস্মীভূত করে। পরে হরগৌরীর পরিণয়সম্পাদন হয়, এবং “কাৰ্ত্তিকেয়ের জন্ম হয়। অনন্তর, তিনি, দেবসৈন্যের সমভিব্যাহারে সমর-সাগরে অবতীর্ণ হইয়া, দুৰ্বত্ত তারকাসুরের প্রাণ-সংহার-পূর্বক, দেবতাদিগকে আপনি আপন অধিকারে পুনঃস্থাপিত করেননা। এই বৃত্তান্ত সুচারুরূপে, কুমার-সন্তবে, সবিস্তর বর্ণিত হইয়াছে।” “কুমারসম্ভব সপ্তদশ সর্গে বিভক্ত। তন্মধ্যে প্ৰথম সাত সর্গেরই সর্বত্র অনুশীলন আছে ; অবশিষ্ট দশ সর্গ একেবারে VO