পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমারের বৃত্তান্ত । VOC বৎসর পূর্বে, তদীয় “কাব্য-প্রকাশ’ গ্রন্থে এবং বিশ্বনাথ ‘সাহিত্যদর্পণে, রস-দোষপ্রসঙ্গে, কালিদাস-কৃত, হর পাৰ্বতীর “সম্ভোগ বর্ণনার অনেীচিত্য স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। তঁহারা বলিয়াছেন,-“রতিঃ সম্ভোগ্যশৃঙ্গাররূপ উত্তম-দেবতা-বিষয়া। ন বর্ণনীয়, তদ্বর্ণনং হি পিত্ৰোঃ সম্ভোগ-বৰ্ণনামিব অত্যন্ত মনুচিতম।” (১) বিদ্যাসাগর মহাশয়ের, কুমারসম্ভব-বিষয়ক উক্ত অভিমত সম্বন্ধে দুই একটি কথা বলিবার আছে। কুমার-সম্ভবের অন্য অংশ না হউক, অষ্টম সৰ্গ, যাহা বৰ্ত্তমানে কালিদাস-প্ৰণীত বলিয়া সর্বত্র প্রচলিত, তাহা যে প্রকৃতই কালিদাসের অমৃতময়ী লেখনী হইতে বিনির্গত হইয়াছে, তৎপক্ষে, অণুমাত্র সন্দেহ নাই। কুমার-সম্ভব রঘুবংশের পূর্ববৰ্ত্তী। প্রথম রচনা একেবারে নির্দোষ হওয়া অসম্ভব। তাই কালিদাস, কুমারে যে যে স্থল কিঞ্চিৎ অসংলগ্ন, তৎসদৃশ স্থল সমূহ, রঘুবংশে সংশোধিত করিয়াছেন। হরপার্বতীর বিবাহ ও অজ-ইন্দুমতীর বিবাহ, এবং রতিবিলাপ ও অজবিলাপ মিলাইয়া পড়িলে, এ সিদ্ধান্ত সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে। কুমারের অষ্টম ও রঘুর ত্রয়োদশ ইহার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। নগেন্দ্র-নন্দিনী উমা, প্ৰথমবারে, সৌন্দর্ঘ্যে বিরূপক্ষের হৃদয় জয় করিতে যাইয়া, মদন-ভস্মের পর, অকৃতকাৰ্য্য হইয়া প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। পরে, দীর্ঘকাল কঠোর তপস্যা করিয়া २-काबाथ कांन, चांग्रनज़, १-२७ले ।