পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাৰ্বতীকে দেখাইলেন। তৎকালে, হরপার্বতীর প্রসন্ন হৃদয়ের ন্যায়, পৃথিবীর তাবৎ পদার্থই যেন অকস্মাৎ প্রসন্ন হইয়া উঠিয়াছে। তাবৎ পদার্থই যেন তাহদের সেবায় রত। মহাদেব, ইতস্ততঃ যাহা যাহা দেখেন, —তাহার মনে হইতে লাগিল, যেন, সে সমস্তই তদীয় তপঃকৃশ হৃদয়েশ্বরীর পরিচর্য্যার জন্য উৎসুক । কুমারের অষ্টমের সেই সকল বর্ণনা অতীব হৃদয়-গ্ৰাহিণী। রঘুবংশের ত্ৰয়োদশ সর্গে, রামচন্দ্র যখন, জানকীর সহিত আকাশ : - পথে অযোধ্যায় প্রত্যাবৃত্ত হইতেছেন, তখন সেই স্থলে আমরা যে সকল নিরুপম চিত্ৰ দেখিতে পাই, কুমারের অষ্টমে, যেন সেই সকল চিত্রেরই প্ৰথম রেখাপাত করা হইয়াছে। কুমারের ঐ অংশে, কোন কোন স্থলে ঈষৎ ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়; কিন্তু রঘুর ত্রয়ােদশে, তাহার উন্মাদিনী কল্পনা পরিপকভােব ধারণপূর্বক, গিরি-নিৰ্ব্বরের ন্যায় অপ্ৰতিহত-গমনে চলিয়া গিয়াছে। উভয় গ্ৰন্থ মিলাইয়া পাঠ করিলেই এই কথার যাথাথ্য উপলব্ধ হইবে। कूभौद्ध अभ्भ गर्शज्ञ २, १, »०, »७, ७२, ७8, ४०,४४, ४२,४७, প্রভৃতি কবিতা পাঠু করিলে, এই কল্পনার কৰ্ত্তা যে কালিদাস, এবিষয়ে কোনই সংশয় থাকে না। তাদৃশী হৃদয়োম্মাদিনী প্ৰতিমা, কালিদাস ব্যাতিরিক্ত আর কে নিৰ্ম্মাণ করিতে পারেন ? মানুষ অভ্রান্ত নহে, সুতরাং কুমারের অষ্টম সম্বন্ধে হয়ত আমারও ভ্রম ঘটতে পারে। নবমাদি সৰ্গ সম্বন্ধে মনস্বী । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অভিমতই সৰ্বথা আদরণীয়। ঐ অংশ যে }