পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হর-সমাধি-ভঙ্গ । ፃ እ প্রয়োজন হইবে না। কিন্তু মহাদেব পৰ্য্যন্ত উপনীত হইবার পূর্বেই, তাহার অনুচর নন্দীকে দেখিয়াই কন্দৰ্প বুঝিলেন যে, না, এতাদৃশ অস্ত্রের সাহায্যে ত্রিপুরারি-বিজয় একপ্রকার অসম্ভব। তা’র পর, সেই ধ্যান-মগ্ন মহেশ্বরকে দর্শন করিয়া তিনি চমকিত হইলেন। তখন আরও বুঝিলেন যে, এ শত্রু জয় করিতে হইলে, এ দুৰ্জয় দুর্গ ভগ্না করিতে হইলে, আমার যে সমুদয় অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ আছে, তাহাতে হইবে না, তদপেক্ষ দৃঢ়তর অস্ত্রের প্রয়োজন। এইরূপ সময়ে পার্বতী উপস্থিত। কালিদাস, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের ন্যায়, বড় সময় বুঝিয়া, পাৰ্বতীরূপ কস্তৱীপ্রয়োগো মদনের অবসন্ন হৃদয় সবল করিলেন । তখন কুসুমেষু— ‘তাং বীক্ষ্য সর্বাবয়বানবদ্যাং রাতেরপি হী-পদমাদধানাম । জিতেন্দ্ৰিয়ে শূলিনি পুষ্প-চাপঃ স্বীকাৰ্য্য-সিদ্ধিং পুনরাশশংসে ॥ (১) মন্মথ, সেই বসন্ত-পুষ্পাভরণ-নমিতাঙ্গী প্ৰতিমার দর্শনে আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া, চিন্তা করিতে লাগিলেন যে, এই সময়ে যদি একটা বাণক্ষেপ করিতে পারিতাম, তাহা হইলে, জিতেন্দ্ৰিয় শূলী শাস্তু নিশ্চয়ই বিদ্ধ হইতেন। (১) কুমার, ৩য়-৫৭ । “তঁহাকে দেখিলে নিজ-কান্ত রতি পৰ্যন্ত লাজ পান, এরূপ দোষম্পর্শ শুন্য সৌন্দৰ্য্যশালিনী সেই বালাকে দর্শন করিয়া কামদেবের মনে এই আশার-সঞ্চার হইল যে, মহাদেব যতই জিতেন্দ্ৰিয় হউন, ইহার সাহায্যে তঁহার প্রতি ब१-aप्य१-१६क নিজ কাৰ্য্যসিদ্ধি করিলেও করিতে পারেন।” ( কৃষ্ণকমল )