পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে পঙ্কজিনী বঙ্কিমভাবে নরেন্দ্রের প্রতি একটা তীব্র কটাক্ষ করিয়া বলিল, “কার কথার মানে হয় না, তা জ্যাঠাইমা বেশ জানেন। নইলে তার বল শুধু শুধু অসুখ হবে কেন। অসুখ বুঝি আবার কারুর নাকি বলে কয়ে হয় ? অসুখ যখন হয় তখন শুধু শুধুই হয় ।” কাত্যায়নী পুত্রের মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “তোমারও বাপু কোন বুদ্ধি শুদ্ধি নেই,—সেই জন্তই তো আমার এত ভাবনা । এত বড় ছেলে হ'লে এখন নিজের অসুখটী পৰ্য্যন্ত বোঝবার ক্ষমতা হ’লো না । এখন চল যাই দেখিগে আবার উনি তোমায় খুঁজছিলেন কেন ?” “না আমার বুদ্ধি নেই বষ্ট কি !” নরেন্দ্র উঠিয় দাড়াইল । কাত্যায়নী আর কথা কহিলেন না,—তিনি পুত্রকে সঙ্গে লইয়া । তাহার স্বামীর গৃহের দিকে চলিয়া গেলেন। নরেন্দ্র ও কাতায়নী গৃহ হইতে বাহির হইয় গেলে, পঙ্কজিনী ধীরে ধীরে যাইয় সোফীব উপর বসিল,—তাহার পর নবেন্দ্রের সেই পরিত্যক্ত পুস্তকখানা নাড়িয়া চড়িয়া দেখিতে লাগিল। . J "כ ]