পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে পিতার কথার কোনই উত্তর দিল না—কাত্যায়নী তাড়াতাড়ি বলিলেন, “আমি কি তোমায় মিছে কথা বলেছি,—নরুইতে সেদিন আমায় বল্লে, ন মা আমি পঙ্কীকে বিয়ে করবো না,—ওষে কালো ! সত্যি মিথ্যে ওর মুখেই শোন না।” দেবেনবাবু পুত্রের মুখ হইতে একটা কিছু শুনিবার জন্ত কিছুক্ষণ নীরবে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রছিলেন ; কিন্তু পুত্রকে নীরব দেখিয়া তিনি আবার বলিতে লাগিলেন, “ত হ’লে কথাটা যথার্থ ! কিন্তু আমার মতে তোমার পঙ্ককেই বিয়ে করা উচিত ছিল। তার রং একটু কালো বটে কিন্তু অমন লক্ষ্মী মেয়ে হাজারে একটা পাওয়াও কঠিন। মাকে আমার ভগবান কহিনুর দিয়ে তৈরী করেছেন। মায়ের যে আমার কত গুণ তা কেবল আমিই জানি ।” A. দেবেনবাবুর কণ্ঠস্বর ক্রমেই গাঢ় হইয়া আসিতেছিল,—একটা নিবিড় স্নেহের উচ্ছাসে তাহার সমস্ত প্রাণটা একেবারে ভরিয়া উঠিয়াছিল,—তিনি আর কথা কহিতে পারিলেন না । মাতৃহারা, আশ্রয়চু্যত তাহার বড় আদরের সেই ক্ষুদ্র মেয়েটকে তিনি কেমন করিয়া পরের ঘরে পাঠাইয়া দিবেন সেই কথাটা সহস র্তাহার মনে হওয়ায়, নয়ন-পল্লব সিক্ত হইবার উপক্রম করিল, তিনি অন্যদিকে মুখ ফিরাইলেন। কাতায়নী স্বামীর মুখের পানে চাহিয়াছিলেন ; তিনি স্বামীর গাঢ় স্বরে প্রাণে বেদন পাইলেন,— অতি ক্ষীণ কণ্ঠে বলিলেন, “তা হক্‌গে কাল,—উনি যখন বলছেন, নরু তুই পঙ্কীকেই না হয় বিয়ে কর।” [ २> ']