পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ পঙ্কজিনাব বিবাহ স্থির হইয়া গেল। যাহা হইবার তাহা শুইলেক্ট। নিয়তি রাণীর অকাট্য বিধান অখণ্ডনীয়। তাহার অন্যথা করে কাছার সাধ্য। মানুষতে ক্ষুদ্র স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকেও তাঁহারই বিধানে ব্যাধের শবে প্রাণত্যাগ করিতে হইয়াছিল। নরেন্দ্রনাথ যখন পঙ্কজিনীকে কিছুতেই বিবাহ করিতে স্বীকৃত হইল না, তখন বাধা হইয়া দেবেনবাবু পঙ্কজিনীর জন্য একটা সুপাত্র অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। অর্থের আনুকুল্য থাকিলে কিছুরই অভাব হয় না। রাশিকত অর্থের বিনিময়ে শাস্ত্রই এক স্থপত্রি দেবেনবাবু পঙ্কজিনীর জন্ত স্থির করিলেন। পাত্র মিশিবপুরের জমীদারের একমাত্র পুত্র,—এইবার বি, এ, পরীক্ষা দিয়াছে। পাত্রের রূপও যেমন, চরিত্রও তেমনি । যথা সময়ে পঙ্কজিনীব পাকা দেখাও সম্পন্ন হইয় গেল । বিবাহের দিন ও নিকটবর্তী হইয়া আসিল । সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে। রজনীর অন্ধকার চাদের আলোয় লুকোচুরি খেলিতেছিল। আকাশে তারা নাই,—নীল আকাশে পূর্ণিমার চাদ চন্দ্রমণ্ডল করিয়া ধরার গায়ে জ্যোৎস্না বৃষ্টি করিতেছিল । ফাঙ্কনের মাতাল হাওয়া ফুলের গন্ধ হরণ করিয়া মাতালের মত ছুটিয়া আসিয়া গৃহের ভিতর, উন্মুক্ত ছাদে ঢলিয়া পড়িতেছিল। দেবেনবাবু তাহার শয়ন কক্ষে একাকী বসিয়া পঙ্কজিনীর বিবাহে [ २७ ]