পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার সেই অশ্রভাবাক্রোন্ত নয়নদ্বয় চকিতের ন্তায় একবার তুলিল। নরেন্দ্রনাথ সে চাহনি অনুভব করিলেন । সে চাহনির ভিতব যেন একটা তীব্র অভিমান শেল লুক্কায়িত ছিল। শক্তি শেলের মত সেটা একেবারে নরেন্দ্রের হৃদয়ের মাঝখানে সজোরে আসিয়া আঘাত করিল। নরেন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া সেই বেকাৰী হইতে দুৰ্ব্ব ও ধান তুলিয়া লইয়া বর-কনের মস্তক স্পশ করিল। পঙ্কজিনী নরেন্দ্রের পদদ্বয়েব সম্মুখে মস্তক অবনত করিয়া তাহার পদধূলী গ্রহণ কৰিল । সে মস্তক নত করিবামাত্র এক ফোটা অশ্র নরেনের ঠিক পায়েব উপব টপ, করিয়া ঝরিয়া পড়িল । সেই অশ্রুবিন্দু পদস্পর্শ করিবামাত্র নরেন্দ্রের মনে হইল যেন সেই স্থানটা পুড়িয়া একেবাবে ছাই হইয়া গেল । সঙ্গে সঙ্গে তাহার দেহেব প্রতি শিবায় শিরায় বিদ্যুৎ ছুটিল । সে যে বর-কনেকে আশাব্বাদ করিতে আসিয়াছে, সে কথা সে একেবারে বিস্তৃত হইল। মহা অপরাধীর মত তাঙ্গর সমস্ত প্রাণটা সেই ঘর হইতে পালাইবাব জন্য ব্যাকুল হইয়৷ পড়িল । সে ধীরে ধীরে গুহ হইতে বহির হইয়া যাইতেছিল কিন্তু দেবেনবাবু তাহাকে ডাকিলেন ; তাহারও নয়নে অশ্র । তিনি অতি গাঢ় স্বরে বলিলেন, “নবেন একটু দাড়াও । কোলে ক’রে পঙ্ককে তুমিই গাড়ীতে তুলে দিয়ে এস।” পিতার আহবান নবেন্দ্রনাথ অগ্রাহ করিতে পারিল না । ভাহাকে আবার ফিরিতে হইল। ফাসির হুকুম শুনিয়া হত্যাকারীর মুখখান যেমন সাদা হইয়া যায়, পিতার আদেশ শুনিয়া তাহাবও ' { 8२ ]