পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে তাহাব সমস্ত প্রাণ অরুণরাগ রেখার মত পরিষ্কার হইয়া উঠিতে ছিল, তখন পঙ্কজিনীব জীবনাকাশে মুখস্থৰ্য্য অস্তমিত হইয়া নিরাশার গাঢ় অন্ধকারে সমস্ত আচ্ছন্ন কবিয়া ফেলিবার স্বচনা হইতেছিল। নরেন্দ্রনাথের বৌভাতের আনন্দ যখন গান বাজনা ও প্রতিভোজের ধূমে মুখরিত হইয়া উঠিয়া ছিল, সেই সময় দেবেনবাবু পঙ্কজিনীর শ্বশুরালয় হইতে এক ‘তাব’ পাইলেন, “পঙ্কের স্বামী সহসা কলের বোগে আক্রাস্ত হইয়াছে। বোণ মাবাহক । অবিলম্বে পঙ্কজিনীকে যেন পাঠাইবার বন্দোবস্ত করা হয় ।” ‘তাব’ পড়িয়া দেবেনবাবু একেবারে বসিয়া পড়িলেন । পুত্রের বিবাহেব সমস্ত আনন্দ নিমিষে যেন একটা নিরানন্দেব অণলবণে ছাইয়। মেলিল । বোগ সাংঘাতিক,-—এক মুহূৰ্ত্তও বিলম্ব করিবার উপায় নাই, যে কোন উপায়ই হউক পঙ্কজিনীকে তখনই শ্বশুরালয়ে পাঠাইতে হইলে । তিনি একটা গাঢ় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়। অন্তঃপুরের মধ্যে প্রবেশ কfবলেন । দ্বিতলেব সজ্জিত হল কাম্রর ভিতর বসিয়া পঙ্কজিনা নপলধকে মনের মত করিয়া ফুলশয্যাব সাজে সাজ্জত কবিতেছিল। নরেন্দ্রনাথের বিবাহেব আনন্বে ভিতব সে এ কয়দিন নিজেকে একেবাবে ডুবাইয়া রাখিয়ছিল । তাহাব নবেনদাব বিবাহ,—নবেনদা সুখী হুইবে, নরেনদীব মনের মত টুকটুকে বে। আসিয়াছে, এ আনন্দ তাহাব রাখিবার স্থান নাই । তাহার ক্ষুদ্র হৃদয় সে আনন্দের তরঙ্গে একেবাবে উদ্বেলিত হইয়া উঠিয়া ছিল । তাহাব বিবাহেব পর, সে আর নরেনদীর মুখে একদিনের জন্য ও হাসি দেখিতে পায় راه t :