পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে গুহের দরজাটা টানিয়া বন্ধ করিয়া দিলেন। দরজা বন্ধের শব্দে নবেন্দ্রনাথ দরজার দিকে চাহিল। দরজার শিকল যে বাহির হইতে পড়িল তাহাব শব্দটুকুও তাহার কর্ণে আসিল । সে একবার গৃহেব চারিদিকে চাহিয়া দেখিল, গৃহের মধ্যস্থলের প্রকাণ্ড ঝাড়ে বিজ্ঞাতিক আলে জলিতেছে,—সেই আলোয় সমস্ত ঘরখানা একেবারে জলজল করিতেছে,—সেই অালোব নিয়ে পালঙ্কেব উপব, ছিন্নকুলের শয্যাব উপর ফুলসাজে সজ্জিত লালিত্যময়ী শায়িত, তাহাব সৰ্ব্বাঙ্গ সন্ত্রে আচ্ছাদিত । সেই বস্ত্রাচ্ছাদিত মূৰ্ত্তির দিকে দষ্টি পড়িলামাত্র আবার পঙ্কজিনীর কথা যেন বিদ্যুতের মত নরেন্দ্রনাথের অন্ধকার হৃদয়াকাশে চক্‌মক করিয়া উঠিল । তাহাব মুখেব একটা কথায় যেখানে পঙ্কজিনী শুইতে পারিত, সেখানে আজ তাহার এক সম্পূর্ণ অপবিচিত অজানা বালিক। অগসিয়া শয়ন করিয়াছে । সে কেমন,—সে কি তাহার শূন্ত হৃদয় পূর্ণ করিতে পারবে ? কে যেন নরেন্দ্রনাথের হৃদয়েব ভিতব অতি কঠোর স্ববে বলিয়া উঠিল, “ন—ন – না । হীরকের স্থান কি কাচখণ্ডে কোন দিন পূর্ণ হইয়াছে।” একটা বুকভাঙ্গ দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া, চিন্তার বোঝাটাকে দেহু হইতে নামাইয়া দিবার চেষ্টা করিয়া, নরেন্দ্রনাথ উঠিয় দাড়াইল। তাহার পর ধীরে ধীরে পালঙ্কের উপর উঠিয়া লালিতাময়ীর পাশ্বে যাইয়া শয়ন করিল। সে বহুক্ষণ চুপ করিয়া -গুড়িয়া থাকিয় নিদ্রা দিবার চেষ্টা করিতে লাগিল—কিন্তু নিদ্র চক্ষে আসিল না । চিন্তাদেবী যেন ষড়যন্ত্র করিয়া, বিজিত সেনার