পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে আমার সর্বস্ব,—র্তার মুখে আমি শিশিরের মুখ দেখতে পাবো ।” অভয়বাবু নীরব হইলেন, দেবেনবাবুও আর কোন কথা কহিলেন না। সমস্ত ঘরখানা যেন একটা নীরব বেদনায় নিঝুম হইয়া পড়িল । অভয়বাবু কিছুক্ষণ নীরব থাকিয় দ্বারের দিকে চাহিয়া হাকিলেন, “ওরে কে আছিস । বোমাকে একবার এইখন পাঠিয়ে দে ।” দ্বারের পাশ্বে ই ভৃত্য দাড়াইয় ছিল,— সে বাবুর আদেশ পাইয়া অন্তঃপুরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া সংবাদ দিল, “বোম ঠাকুরুণকে বাবু ডাক্ছেন।” শ্বশুরের আহবান সংবাদ পাইয়া পঙ্কজিনী আসিয়া ধীরে ধীরে গৃহের ভিতর প্রবেশ করিল। দেবেনবাবু , দ্বারের দিকে চাহিয়া ছিলেন,—তাহাব দৃষ্টি পঙ্কজিনীর উপর পতিত হইল । আজ তিন দিন তিনি পঙ্কজিনীকে দেখেন নাই । আজ সহসা তাহাকে দেখিয়া তিনি যেন তাহাকে চিনিতে পারিলেন না ; এই তিন দিনে তাহার আকাশ পাতাল পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে। তাহার মুখে আর সে হাসি,—সে আনন্দ নাই, বিষাদ তথায় মনের সাধে আপন রাজ্য পাতিয়া সে মধুর হাসির সবটুকু একবারে হরণ করিয়া লইয়াছে। অঙ্গে একখানিও অলঙ্কার নাই,—শুভ্র থান পরিহিত,—এলায়িত রুক্ষ কেশ,—অঙ্গের প্রতি ভঙ্গিমায় একটা স্থির, ধীর, গাম্ভীৰ্য্য বিরাজ করিতেছে। পঙ্কজিনীর এই মূৰ্ত্তির পানে চাহিয়া দেবেনবাবুর সমস্ত প্রাণটা যেন কাদিয়া উঠিল। [ అసె ]